অফিসে গিয়ে প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছিল, মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঠেকাতে পারছিলেন না মহিলা। এত অস্বস্তিকর পরিবেশে কীভাবে থাকবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না, এমন পরিস্থিতিতে ঘটল এমনই একটি ঘটনা, যে ওই মহিলা এখন নোটিশ পিরিয়ডে রয়েছেন। উল্লেখ্য, ভারতের অনেক কর্মচারীই কর্মক্ষেত্রে খারা🐎প পরিবেশের কারণে চাকরি ছেড়ে দেন। কেউ কেউ তাঁদের খারাপ লাগা প্রকাশ করতে সক্ষম হন, কেউ কেউ আবার কথা না বলে এগিয়ে যান। তবে, এইচএসবিসি ব্যাঙ্কের এক কর্মচারী নিকিতা কুমারী কিন্তু এ প্রসঙ্গে চুপ করে থাকেননি। অফিসের খারাপ পরিবেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিঙ্কডইন-এ নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া প্রতিটা ঘটনা খুলে লিখেছেন, যা এখন বেশ ভাইরাল হচ্ছে।
একটি দীর্ঘ পোস্টে, নিকিতা কুমারী লিখেছেন যে তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এইচএসবিসি ব্যাঙ্কের হায়দ্রাবাদ শাখার সঙ্গে কাজ করছেন। এই সময়কালে, এমন অনেক সময় ছিল যখন তাঁকে প্যানিক অ্যাটাক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। তিনি আরও লিখেছেন🍰, ২২ এপ্রিল ২০২৪-এ এমনইএকটি ঘটনা ঘটেছিল, যখন আমার এক সহকর্মী অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। ওই ব্যক্তির বলা শব্দগুলো ছিল- এক চড় মেরে, বিহারে পাঠিয়ে দেব।
এই মন্তব্যের অভিযোগ করে প্রোটোকল মেনে ম্যানেজারকে বিষয়টি জানিয়েও কিন্তু লাভ হয়নি। একটি টিম মিটিংয়ে বলা হয়েছিল যে তাদের বলা হয়েছিল যে সহকর্মী তো আর শারীরিকভাবে আক্রমণ করেননি। তাই সব ঠিক আছে। মহিলা কর্মীকে এও বলা হয়েছিল যে এটি শুধুমাত্র একটি ঘৃণ্য মন্তব্য, যা উপেক্ষা করা যেতেই পারে। এরপর কুমারী এইচআর টিমের সঙ্গে যোগাযোগ ꦐকরে, একটি POSH অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর, ৩ মে, তিনি এইচআর টিমের কাছ থেকে একটি ইমেল পেয়েছিলেন, যেখানে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে কোনও আপডেট ছাড়াই প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য বলা হয়েছিল।
আরও ঘটনা শেয়ার করে, কুমারী বলেছেন যে আরও একজন সহকর্মী তাঁর উপর আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। ওই কর্মী বলেছিলেন, নিকিতার মতো মেয়েকে দেখেননি তিনি, নিকিতা নাকি দলের নাম নষ্ট করেছে। কিন্তু নিকিতা যখন তাঁকে এমন বলার কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তিনি কখনওই ইউকে টিমের কোনও মেয়েকে সিগারেট খেতে♌ দেখেনি। অথচ পরে অফিসের ভিতরে ফিরে যাওয়ার সময় নিকিতা ওই ব্যক্তিকেই তামাক খেতে দেখেছিলেন। এমনকি অফিস প্রাঙ্গনে দেওয়ালে থুতুও ফেলতে দেখেছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে, হরপ্পা ♏ইনসাইটস দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় শ্রমিকরা তাঁদের চাকরি ছেড়ে যাওয়ার শীর্ষ কারণগুলি ভাগ করে নিয়েছেন৷ আর সেই সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে যে খারাপ বস এবং খারাপ কর্মক্ষেত্রগুলিই 'গ্রেট ইন্ডিয়ান পদত্যাগের' প্রাথমিক কারণ।
এ প্রসঙ্গে একমত নেটিজেনরাও। তাঁদেরও দাবি, মেয়ে, তোমার সাহস এবং দৃঢ়তা আছে। প্রত্যেকেরই তা🤪 নেই। কিন্তু এটা অন্যায়। একে নির্যাতন করা বলে।