♑নদী হোক বা সমুদ্র কিংবা জলপ্রপাত, বর্ষার সময় তাঁর সৌন্দর্য যেন এক আলাদা মাত্রা পায়। আর সেটা যে নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেননি, তাঁর পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তাই বলব, যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন সময় বের করে একটু ঘুরে আসুন ভারতের নায়াগ্রা থেকে। দুর্দান্ত লাগবে, এই ভ্রমণের যে আলাদা মাধুর্য আছে, তা আর কোথাও নেই।
ছত্তিশগড়ে রয়েছে চিত্রকূট জলপ্রপাত। যাকে ভারতের নায়াগ্রা বলা হয়। বর্ষাকালে এর রূপ পাগলপাড়া। জগদলপুরের পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। জলপ্রপাতটি🍃র উচ্চতা প্রায় ৯৫ ফুট। বাস্তারে ইন্দ্রবতী নদী মালভূমির মধ্যে দিয়ে ছুটে চলে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ভারতের অন্যতম প্রশস্ত জলপ্রপাত এই চিত্রকূট। বর্ষায় যা আরও বেড়ে যায়। ফলে প্রতি বছর বর্ষাকালে হাজার হাজার মানুষ আসেন এখানে।
ইন্দ্রাবতী নদীর ভয়ঙ্কর রূপটা দেখতে তাই বর্ষাকালেই আসুন এখানে। প্রায় ৩০০ মিটার প্রশস্ত এই জলপ্রপাতটি বর্তমানে দর্শকদের মধ্যে বেশি𝓰 জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ঝরনার জলে নিজেকে ভিজিয়ে নিতে পারেন। মানে স্নান করার সুযোগ রয়েছে। এমনকী নৌকা ভাড়া করে জলপ্রপাতের উৎপত্তিস্থলেও যাওয়া সম্ভব। পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের মলিন আলোয় চিত্রকূট আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।
কখন যাবেন চিত্রকূট দেখতে:
জুলাই থেকে অক্টোবর মাস এই জলপ্রপাত দেখতে আসার সেরা সময়। কারণ এই সময় ইন্দ্রাবতী নদী বর্ষার জল পেয়ে ফুলেফেঁপে ওঠে। তবে হ্🤡যাঁ, নদীর প্রবাহমানতায় অতিরিক্ত পলি-মাটি জমা হওয়ায় এই সময় নদীর জল ঘোলাটে, মাটি-মাটি। পরিষ্কার স্বচ্ছ জল দেখতে হলে আসতে হবে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে। শীতের সময় ঠান্ডাও কম থাকে। শুধু বর্ষার মতো ঝরনা ভয়াবহ আকার নেয় না।
কোথায় থাকবেন:
থাকুন ছত্তিশগড় ট্যুরিজমের অন্তর্গত দান্দামী রিসর্টে൲। এই রিসর্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এর অবস্থান। চিত্রকূট এর একদম পাশে আর ইন্দ্রাবতী নদীর পাড়ে গড়ে ওঠায় , ঘরের ব্যালকনি থেকেই চিত্রকূট দেখা যায়। সঙ্গে রিসর্টের বিস্তৃত জায়গা খুবই সুন্দর করে সাজানো। দারুণ লাগে ঘুরে দেখতে। বর্ষাকালে পুরোনো রুমের ক্ষেত্রে প্রতিটা বিজোড় নম্বরের রুম থেকেই পুরো জলপ্রপাতের রূপ দেখতে পাওয়া যায়, আর অন্য সময় ১০১ নম্বর রুম থেকে ভালো দেখা যায়। নতুন যে কটেজ গুলো হয়েছে তার সব কটা থেকেই🤡 ভিউ দারুণ। পুরনো রুমের ভাড়া ১ রাতের জন্য় ২৭০০ টাকা। আর নতুন রুমের ভাড়া ৪০০০ টাকা।
কীভাবে যাবেন:
চিত্রকূট ফলসের নিকটম বিমানবন্দর ছ🦹ত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর-এ অবস্থিত। সেখান থেকে দান্দামী আসতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টা মতো (২৮৪ কিমি)। নিকটবর্তী রেল স্টেশনটি হলো জগদলপুর। স্টেশন থেকে গাড়িতে আসতে সময় লাগ༒ে দেড় ঘণ্টা (৪০ কিমি) মতো।