প্রায়শই কিছু লোক অভিযোগ করে যে তাদের ঘুম মধ্যরাতে ব্যাহত হয়। এর পরে তাদের আবার গভীর ঘুম পেতে অনেক অসুবিধা হয়। ভালো ঘুম না হওয়া শুধু একজন মানুষের এনার্জি লেভেল কমিয়ে দেয় না বরং তার ম𝓰েজাজও খারাপ রাখে। রাত ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে ঘুমের ব্যাঘাত যে কারোরই সমস্যা হতে পারে। আপনার ক্ষেত্রেও যদি এমনটি হয়ে থাকে, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণ সম্পর্কে জেনে নিন। আসুন জেনে নিই মধ্যরাতে ঘুম ভাঙার কারণগুলো কী কী।
কম চিনির মাত্রা এবং হরমোন বৃদ্ধি
সুস্বাস্থ্য এবং ঘুমের মতো বিষয় নিয়ে কাজ করা ড꧑েভ অ্যাসপ্রে-র মতে, ভোর ৩টে থেকে ৫টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার জন্য চিনির মাত্রার ওঠানামা দায়ী হতে পারে। অ্যাসপ্রে বলেছেন যে রক্তে শর্করার দ্রুত হ্রাসের ফলে অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসলের মতো স্ট্রেস রাসায়নিকগুলি শরীরে নির্গত হতে পারে, যা একটি উদ্দীপক প💦্রভাব ফেলে। যদিও এই হরমোনগুলি লিভার এবং পেশী থেকে গ্লুকোজ নিঃসরণ করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তারা ঘুমের ক্ষেত্রেও হস্তক্ষেপ করে।
মানসিক চাপের কারণে করটিসলের মাত্রা বেড়ে যায়
অন্যদিকে মানসিক চাপের কারণে শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকেও মাঝরাতে ঘুম থেকে ওঠার কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কর্টিসল একটি স্ট্রেস হরমোন হিসাবে পরিচিত, শরীরের শক্তির স্তর বজায় রাখা এবং ঘুম-জাগরণ চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো অনেক কাজ করে। কিন❀্তু শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বর্ধিত সতর্কতার অবস্থা আপনাকে হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠতে পারে, বিশেষ করে সকাল ৩টে থেকে ৫টার মধ্যে।
পরামর্শ
অ্যাসপ্রে ভালো, গভীর ঘুম নিশ্চিত করতে ঘুমানোর আগে হালকা নাস্তা খাওয়ার পরামর্শ দেন। যার𝓰 মধ্যে রয়েছে মধু, এমসিটি তেল (নারকেল তেল) এবং কোলাজেন। আপনি চাইলে তিনজনই একসাথে নিতে পারেন। এই সমস্ত শক্তির ধীর-দহন উৎস যা রক্তে শর্করার ড্রপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।