কোভিড সেরে যাওয়ার পরেও থেকে গিয়েছে তার প্রভাব। এমনটাই মনের করছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশ কিছু জটিল রোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। নানা গবেষণায় এমন সব চিত্র সামনে এসেছে। কোভিড পরবর্তী যে সকল রোগগুলি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, বཧমি ভাব ইত্যাদি।
প্রায় চারবছর ধরে করোনা আমাদের ঘরবন্দি করে রেখেছিল। করোনা জীবন কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের। ভ্যাকসিনের আবিস্কার যদিও স্বস্তি দিয়েছে। ভ্যাকসিনের ব্যবহারে ৮০% করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর লক্ষ করা যাচ্ছে কোভিড পরবর্তী জটিলতা। যা ভাবিয়ে তুলছে চিকিৎসকদের। ভাইরাসটি আক্রান্ত করেছে লিভার, ফুসফুস, সহ স্নায়ুতন্ত্রকে। তাই করোনা চলে গেলেও নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। মেনে চলতে হব🧜ে চিকিৎসকদের পরামর্শ। আসুন জেনে নেওয়া যাক করোনা পরবর্তী কি কি জটিলতা আপনার হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা করোনার সংক্রমণের শিকার হয়নি তাঁদের এই সম্পর্কিত জটিলতা নেই। কোভিড থেকে সদ্য সুস্থ ব্যক্তিদের হচ্ছে এই সমস্যাগুলি🔴। ডাইরিয়া, লিভারের সমস্যা, আলসার, প্যানক্রিয়াটিস নিয়ে অনেকে ভিড় জমাচ্ছে ডাক্তারখানায়।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ক্লিনিকাল এপিডেমিওলজিস্ট গবেষকরা বলেছেন, যাঁদের ওপর গবেষণা করা হয়েছিল তাঁদের বেশিরভাগেরই গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দেখা দিয়েছে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে মুখ, গলা, পাকস্থলী, ছোট এবং বড় অন্ত্র, মলদ্বার এবং সেই সঙ্গে লিভার এবং অগ্ন্যাশয়ের মতো অংশ। শরীরের এই অংশগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলির কাজ এনজাইম তৈরি করে হজমে সাহায্য করা। এগুলি ঠিক 🌄ভাবে কাজ না করায় হচ্ছে আলসার।
নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় প্রায় ১৪ মিলিয়ন মেডিক্যাল রিপোর্ট বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা দেখেছেন যাঁদের কোভিড ছিল তাঁদের মধ্যে এই রোগের সম্ভাবনা ৩৬% বেশি। লিভারের আলসারের ঝুঁকি রয়েছে ৬২%। অ্যাসিড রিফ্লাক্স রোগের ঝুঁকির পরিমাণ ৩৫%। প্যানক্রিয়াটিসের পরিমাণ 🌠বেড়েছে ৪৬%।
করোনা ভাইর🐟াস শুধুমাত্র আমাদের ফুসফুসকেই প্রভাবিত করে না যকৃৎ, স্নায়ু এবং কিডনিকেও প্রভাবিত♔ করে। ফলে এই সংক্রমণ থেকে সেরে উঠতে আমাদের সময় লাগে।
চিকিৎসকেরা বলেছেন, অনেক সময় করোনা আক্রান্ত রোগীর মাথাঘোরা, তীব্র মাথাব্যথা, সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিভ্রম বা ভুলে যাবার প্রবণতার ম▨তো সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এমনকি রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে ব্রেইন স্ট্রোকের ঘটনাও ঘটছে। এসব রোগের ফলে অজ্ঞান হওয়া, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের দুর্বলতাඣ বা প্যারালাইসিস, ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।