কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে, অর্থাৎ ২০২১ সালে করোনার আতঙ্ককেও কখনও কখনও ছাপিয়ে গিয়েছিল ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিসের আতঙ্ক। ছত্রাক ঘটিত এই সংক্রমণের কারণ কী, কেন কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে এই রোগটি ছড়াচ্ছিল— তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। এমনকী এই রোগটির কোনও প্রামাণ্য চিকিৎসাপদ্ধতিও হাতের কাছে ছিল না। ফলে বহু মানুষ এই রোগে আ🐲ক্রান্ত হয়ে প্রাণও হারান। তার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’বছর। অবশেষে এই রোগের কারণ খুঁজে পেলেন কলকাতার বিজ্ঞানীরা।
কী বলছেন তাঁꦇরা? সম্প্রতি কলকাতার কয়েক জন বিজ্ঞানী ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের🔜 কারণটি খুঁজে পেয়েছেন। এক সময়ে অনেকেরই ধারণা হয়েছিল, এর সঙ্গে যোগ আছে স্টেরয়েড দেওয়া চিকিৎসাপদ্ধতির। কিন্তু নতুন আবিষ্কার বলছে অন্য কথা।
কী বলা হচ্ছে সেখানে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাং🐼গাস বা মিউকরমাইকোসিসের পিছনে রয়েছে ‘Myeloid Phagocytic Function’-এর অনুপস্থিতি। কী এই Myeloid Phagocytic Function? বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরে যখন কোনও ছত্রাকের সংক্রমণ হয় তখন এই Myeloid Phagocytic F♌unction ছত্রাককে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। কিন্তু কোভিড আক্রান্ত বহু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এই Myeloid Phagocytic Function ঠিক করে কাজ করত না। আর সেই কারণেই নাকি কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন।
কলকাতার বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা🍃পত্রটি American Society for Microbiology নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ফলে অনেক ধারণাই বদলে গেল। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, স্টেরয়েড সংক্রান্🦂ত ধারণাটি।
ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিস সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা ছিল, এটি স্টেরয়েডের কারণেই বেশি মাত্রায় ঘটে। কিন্তু এই নতুন গবেষণার ফলে বদলে গেল সেই ধারণা। আগামী দিনে এর ফলে ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন রাস্তা খুলে যাবে এবং ভবিষ্যতে এই রোগটি সামলানো অনেক সহজ হবে বলেও মনে করছেন বি♓জ্ঞান🦩ীরা।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT Appꦛ ড🍨াউনলোড করার লিঙ্ক )