ভারতবর্ষের স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই প্রতিবছর ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ভারতের লালকেল্লায়। কিন্তু আরও অনেক স্থাপত্য থাকা সত্ত্ব🙈েও কেন শুধুমাত্র লালকেল্লায় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়? কেন দেশের প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন? কেন লাল কেল্লায় প্রতি বছর কুচকাওয়াজের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়?
একসময় লালকেল্লা মুঘল সাম্রাজ্যের অন্যতম সেরা স্থাপত্য ছিল। যে✅হেতু দিল্লি ভারতের সবথেকে শক্তিশালী রাজ্য ছিল তাই লালকেল্লা থ🎉েকেই মুঘল সম্রাটরা রাজত্ব করতেন।
এই লালকেল্লা থেকেই ব্রিটিশ উপনিবেশিক সরকার প্রায় ২০০ বছর ভারতের উপর শাসন করেছিল। অবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা অর্জন করার পর ভার🥀তের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু প্রথমবার লালকেল্লা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। যদিও স্বাধীনতার দিন নতুন দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে প্রিন্সেস পার্কে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত করা হয়েছিল।
(আরও পড়ুন: এই সব বাঙালি বীরদের চেনেন তো? স্বাধীন🐼তা আন্দোলনে ওঁদের অবদান ꧒ভোলার নয়)
ঠিক তার একদিন পর অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৬ আগস্ট লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। একদিন কেন দেরি হয়েছিল তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন থেকে গেছে। যদিও তার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৪৮ সাল থেকে প্রতিবছর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর লালকেল্লা জাতীয় পতাকা উ👍ত্তোলন করে স🦩্বাধীনতা দিবস পালন করেন।
লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার আরও বেশ কিছু কারণ আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, লালকেল্লা ভারতের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। অন্যদ⛦িকে লালকেল্লা হল একটি বৃহৎ মনমুগ্ধকꦕর কাঠামো, যেখানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সহজেই উদযাপন করা যায়।
(আরও পড়ুন: কাল বাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলবেন? তাহলে এই ♋নিয়ম꧃গুলি জানতেই হবে)
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথেও লালকেল্লার দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে। এখান থেকেই মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরু এবং সুভাষচন্দ্র বসু সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ভারতের জনগণকে স্বাধীনতার লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বক্তৃতা এবং সমাবেশ করতেন। এই স্থাপত্য ভারতের অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের স্মারক বহন করে চলে, 𓂃তাই প্রতিবছর লালকেল্♏লায় অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতা দিবস।