হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা HIV। নাম সকলেই শুনেছেন। কিন্♛ত সবার কাছে পুরোটা যেন ঠিক স্পষ্ট নয়।
চলতি বছরের ১৭ জুলাই বিশ্বজুড়ে ৩.৬৩ কোটিরও বেশি মানুষ এতে প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২০-র শেষের পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে ৩.৭৭ কোটি মানুষ আক্রান্ত। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যানগুলি বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের♛ সবচেয়ে গুরুতর চ্যাল🐓েঞ্জগুলির মধ্যে একটিরই ইঙ্গিত দেয়।
১৯৮৮ সালে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। এই দিনে সারা বিশ্বের মানুষের এই রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একত্রিত হওয়ার বার্তা প্রদান করা হয়। ꦚএই রোগে আক্রান্তদের পাশে থাকার ভাবনাই তুলে ধরা হয় ১ ডিসেম্বর।
চিকিত্সাগত চ্যালেঞ্জের পাশাপাশিই এই রোগ নিয়ে সমাজের ভয়, প্রত্যাখ্যান♑ এবং বৈষম্যও একটি বড় চিন্তার বিষয়। তাই সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতার প্রথম ধাপ হল এর উপসর্গ, সংক্রমণের পদ্ধতি এবং চিকিৎসা বোঝা।
উপসর্গ
এইচআইভির উপসর্গ ব্যক💙্তি হিসাবে ভিন্ন হয়। সংক্রমণের পর্যায়ের উপরেও নির্ভর করে। এইচআইভি সংক্রমণের পর প্রথম কয়েক মাসেই সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হয়। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমণের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহে কোনও উপসর্গ বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা নাও থাকতে পারে। কয়েক মাস পরেই জ্বর, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি বা গলা ব্যথার মতো সমস্যা বাড়তে থাকে।
কারও কারও আবারꦯ অন্যান্য লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিতে পারে। স্ফীত লিম্ফ নোড, ওজন হ্রাস, জ্বর,ܫ ডায়েরিয়া এবং কাশি হতে পারে। ভাইরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। চিকিৎসার অভাবে যক্ষ্মা (টিবি), ক্রিপ্টোকোকাল মেনিনজাইটিস, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এবং লিম্ফোমাস এবং কাপোসিসের মতো মারাত্মক রোগও হতে পারে।
কীভাবে সংক্রমণ হয়?
>> সংক্র🎃ামিত মানুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সময়ে শরীরের নির্যাস/তরল যেমন স্তন দুগ্ধ, এবং বীর্য নিঃসরণের মাধ্যমে।
>>❀𝔍; সংক্রামিত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ক্ষুর, ব্লেড, ট্যাটুর সূচ থেকে রক্তের মাধ্যমে হতে পারে।
>> গর্ভবতী মায়ের থেকে সন্তানের।
>> সংক্রামিত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে।
সাবধানতা
>> যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সর্বদা কন্ডোম ব্যবহার ꦗকরলে রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো যায়।
>> যৌন সঙ্গীর HIV টেস্ট করা থাকলে ভাল।
>> সেলুনে ক্ষুর-এ নতুন ব্লেড ব্যবহার করত♉ে বলুন।
>> ট্যাটু, পিয়ার্সিংয়ের ক্ষেত্রে তা♛ HIV বিধ��ি মেনে হচ্ছে কিনা নিশ্চিত করুন।
>> ইঞ্জেকশন সর্বদাই একবারের বেশি যাতে ব্যবহার না করা হয় সেদিকে খেয়🤪ার রাখুন।
চিকিৎসা
এইচআইভি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আক্রমণ করে। সংক্রমণ এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা দুর্বল করে দেয়।𒊎 WHO-এর মতে, HIV সংক্রমণের এখনও পর্যন্ত কোনও নিরাময় নেই। তবে, কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়, চিকিত্সার অ্যাক্সেস বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে রোগে আক্রান্তদেরও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ রয়েছে। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল (এআরভি) ওষুধ দিয়ে চিকিত্সার মাধ্যমে এইচআইভি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যদিও অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) এইচআইভি সংক্রমণ নিরাময় করে না, তবে এটি শরীরে ভাইরাল প্রতিলিপিকে ধীর করে দেয়। এর ফলে ইমিউন সিস্টেমকে পুনরুদ্ধার হয়। সংক্রমণ এবং ম্যালিগন্যান্সির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পায় শরীর।