ছোটদের প্রিয় খাবার মানেই একটু চটকদার খাবার হতে হবে। মশলাদার না হলে সে খাবার ছোট্ট খুদের একেবারেই মুখে রোচে না। এছাড়া, বাইরে বেরোলে সে টুকটাক ফাস্ট ফুড আর ঠান্ডা পানীয় খাওয🅠়ার বায়না করেই থাকে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, খুদের খাওয়🧸ার অভ্যাসেই বাড়তে পারে সমস্যা। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে পেট ব্যথা থেকে শুরু করে নানারকম শারীরিক সমস্যা। এর মধ্যে গুরুতর একটি সমস্যা হল ডায়াবিটিস।
চল্লিশ বছর বয়স পেরোলে ডায়াবিটিস দেখা দেয়। এমন ধারণা ভুল। বরং অনেক কম বয়সীদেরও এই রোগ হতে পারে। সারা বিশ্ব জুড়ে কম বয়সীদের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা। ভারতে ৭৭ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বিশ্ব জুড়ে মোট ৪২২ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত এই মারণ রোগে। ১৪ নভেম্꧂বর পালিত হয় বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবস। তাই এই দিনটিতে আপনার খুদেকে শেখাতে পারেন স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস।
স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা: প্রথমেই সন্তানকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি। অতিরিক্ত পর🌱িমাণে তৈলাক্ত চটজলদি ও মশলাদার খাবার খেলে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। একে একে সেগুলো বোঝানো দরকার ছোট্ট খুদেকে। ডায়াবিটিসের মতো রোগের কথা জানান সবচেয়ে শেষে। এই রোগ কতটা গুরুতর তা বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে। রোগের গুরুত্ব বুঝতে পারলে সে নিজে থেকেই মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলবে।
ভালো খাবারের পুষ্টিগুণ জানানো: কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারে রয়েছে ⛄প্রচুর পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি এই খাবারগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। খাবারগুলোর নানা পুষ্টিগুণ জানান আপনার সন্তানকে। ঠিকমতো খাবারগুলোর গুরুত্ব বোঝানো গেল🍌ে খুদে সেই খাবারের দিকে ঝুঁকবেই।
নতুন নতুন রেসিপি: ওটস, ডিম, বাটার ইত্যাদির সাহায্যে খুদের জন্য নতুন রেসিপি বানানোর চেষ্টা করুন। প্রতিদিন এক খাবার খাওয়ালে ক'দিন পরেই সে বেঁকে বসত♑ে পারে। নতুন নতুন রেসিপি হলে সে নিজে থেকেই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেতে চাইবে।
নিজের ডায়েটেও বদল আনুন: সন্তানের খাওয়ার অভ্যাস মূলত আপনার আদলেই তৈরি। তাই খুদেকে শেখানোর পাশাপাশি 🌼বদল আনতে হবে আপনার ডায়েটেও। আপনি ডায়েটে বদল আনছেন দেখলে সেও আপনাকে অনুসরণ করবে।