মুরলী কৃষ্ণন
বিচারব্যবস্থার সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্ব হল, পুরো কাঠামোর উপর নজর রাখা। কোনও ফাঁক আ🃏ছে কিনা, সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। কিন্তু তা অনির্বাচিত সরকারের ভূমিকা পালন করতে পারে না। নিজস্ব ক্ষেত্রে আদালত এবং শাসনব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে একথা বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল।
তিনি মন্তব্য করেন, বর্তমানে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে রায় দেওয়ার জন্য আদালতে আর্জির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যেগুলি জনস্বার্থ মামলার আড়ালে আবেদন করা হচ্ছে এবং এই ধরনের মামলা❀𒊎 সামলানোর ক্ষেত্রে আদালতকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।
সেই বিষয়েই একটি এনজিওয়ের ওয়েবমিনারে বিচারপতি কৌল বলেন, ‘কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে আমরা এমন একটি সংবিধান গ্রহণ করেছি, যেখানে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতার বিভাজনের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থাকে নিজের ভূꦆমিকা পালন করতে হবে এবং শাসনব্যবস্থা নিজের দায়িত্ব পালন করবে। আদালত অনির⭕্বাচিত সরকার হতে পারে না। তারা (আদালত) নজর রাখে।'
তাঁর মতে, আদালতের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা আছে এবং পুরো কাঠামো চালানোর দায়িত্ব নেই আদালতের উপর। তিনি বলেন, ‘তারা (আদালতের 𒉰মত বা পর্যবেক্ষণ) চিরাচরিতভাবে সংখ্যালঘু,🐬 কারণ ক্ষমতায় থাকা সরকারের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ছবিটা ফুটে ওঠে। বিচারব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা আছে।’
বিচারপতির কৌলের মতে, বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলাগুলি ঘিরে ‘উগ্র আলোচনা’ চলতে থাকে। সেই হামলার পরিণতি বহন করে আদালত। তিনি বলেন, ‘কত দূর🥃 যাওয়া উচিত, সত্যি বলতে তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে তারা (আদালত)। কেউ কেউ বলেন, আদালত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে, কেউ কেউ আবার বলেন, আদালত বেশি দূর যাচ্ছে না। তবে আমার মতে, এক্ষেত্রে ক্ষমতার বিভাজনের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।’
তিনি জানান, ভিন্নমত পোষণের অবকাশ দেয় কাঠামো। রাজনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষে𒅌ত্রে সেই সুযোগ মেলে সংসদ ও রাস্তায়। আর বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে সেই ভিন্নমত প্রকাশ পায় ভিন্ন রায়ের মধ্য দিয়ে।