ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা রুখতে রেল এবং বন বিভাগের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। ফের ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার খোয়াই জেলার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়ায়। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ধা♛ক্কায় ৫ বছর বয়সি একটি পুরুষ হাতির মৃত্যু হয়েছে। একটি হাতির পাল রেললাইন পারাপার করছিল। সেই সময় ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি একটি হাতি করিডর ছিল। সাধারণত এই সমস্ত এলাকায়♔ ট্রেনের গতি অনেক কম থাকে। তা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কায়ജ তিন হাতির মৃত্যু, চালক কি মদ্যপ ছিলেন? প্রতিবাদ মিছিল চালসায়
বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পরে মৃত হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, এই হাতি করিডরের মধ্য দিয়ে এই রেল লাইনটি তৈরি হয়েছিল ২০০৮ সালে। প্রায় ১৭ টি হাতির দল যাতায়াতের জন্য এই করিডর ব্যবহার করে থাকে। যে হাতির মৃত্যু হয়েছে সেটি প্রাপ্তবয়স্ক নয়। বন বিভাগের অনুমান, হাতিটি দলের একেবারে পিছনে ছিল। শনিবার সকালে আগরতলা থেকে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, বন কর্মকর্তারা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ফোনে হাতির মৃত্যুর খবর জানতে পারে। এরপর বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিকে রেললাইনের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকেন। তবে হাতির মূল্যবান দাঁত দুটি ছিল না। সেক্ষেত্রে চোরাশিকারিরা তা নিয়ে পালাতে পারে বলে অনুমান। মুঙ্গিয়াকামির ফরেস্ট বিট অফিসার তপন সাহা জানান, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। তবে এলাকায় বারবার হাতির তাণ্ডবের ফ🤪লে স্থানীয়দের মধ্যে হাতি নিয়ে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। তাই দুর্ঘটনা পড়েও বাঁচানোর চেষ্টা করেননি স্থানীয়রা। পরে হাতির মৃত্যু হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।