দীপাবলির আগে মর্ম🍸ান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল দিল্লিতে। বাড়িতে বাজি তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির ওয়েলকাম থানার একটি আবাসনে। জানা গিয়েছে, সালফারের সঙ্গে পটাশিয়াম মিশিয়ে বাজি তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন ওই যুবক। তাতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত যুবকের নাম হিমাংশু কুমার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তไাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও, একজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রা🦩জ্যের প্রতি জেলায় একমাস ব্যাপী বাজিবাজারের অনুমোদন রাজ্য সর🅺কারের
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জয় তিরকি জানান, শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে । ওই এলাকার একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে ফোন করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে বাজি তৈরি করতে গিয়ে এই বিস্ফোরণ। তাকে উদ্ধার করে জগ প্রবেশ চন্দ্র হাসপাতালে নি▨য়ে যাওয়া হলে রাত ৮টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অপরাধ ও ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তা খতিয়ে দেখার পর তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দীপাবলির জন্য আতশবাজি তৈরি করতে সালফার এবং পটাসিয়াম মেশাচ্ছিলেন ওই যুবক। তার জেরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হন ওই যুবক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় যুবকের। এই ঘটনায় ওয়েলকাম থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দ🧸ায়ের করেছে।
তবে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়, কিছুদিন আগেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল দিল্লিতে। গত ৪ নভেম্বর পটাসিয়ামের সঙ্গে সালফার মেশাতে গিয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল দিল্লির নারেলার একটি বাড়িতে। পুলিশ জানতে পারে, ওই বাড়িতে আতশবাজি তৈরির জন্য বেশ কিছু বিস্ফোরক উপাদান মজুত রাখা হয়েছিল। মৃতদের নাম গৌরব কুমার এবং সাহিল। তাদের দুজনের বয়স কুড়ির কাছাকাছি। জানা গিয়েছে দীপাবলিতে আতশবাজি বিক্রির জন্য তারা বাড়িতে তা তৈরি করার চেষ্টা করছিল। যদিও মৃতদের পরিবার সে কথা অস্বীﷺকার করেছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে দূষণ মারাত্মক জায়গায় পৌঁছে🗹ছে। এই অবস্থায় রাজধানীতে সব ধরনের আতশবাজি বিক্রি, উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনিভাবে বিক্রি হচ্ছে বাজি। কমলা নগর, সদর বাজার, রাজৌরি গার্ডেন, রমেশ নগর এবং জামা মসজিদের কাছে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি এবং বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।