২২ বছরের෴ মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্য💯ুর পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ প্রতিবাদ। ক্রমেই সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। ইরানে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে চলা প্রতিবাদে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর গুলিতে নারী ও শিশু সহ এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১০৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। এছাড়াও অসংখ্য মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে ইরানের মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ওই মানবাধিকার সংগঠন।
ইরানে হিজাব বিরোধী প্রতিবাদ আরও জোরালো! যুಌক্ত হলেন এঁরাও
সংগঠনের দাবি, ইরানে যেভাবে গণহত্যা করা হচ্ছে তাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। মানবাধিকার সংগঠনের ডিরেক্টর মাহমুদ আমেরী মোঘাদ্দাম জানান, গত তিন দিনে কুর্দিস্থানের সান্নানদাজে বেশ কয়েকজনꦫের নিহত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মাজানদারান প্রদেশে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। কুর্দিস্থানে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের, গিলান ও পশ্চিম আজারবাইজানে মোট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তেহরান প্রদেশের মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
ইরান হিউম্যান রাইটসের দাবি, স্কুল এবং রাস্তায় প্রতিবাদ করা বহু ছাত্রীকে গত তিনꦆ সপ্ত🔴াহে গ্রেফতার করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি জানন উত্তর ইরানের রাস্থ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেও প্রতিবাদ হয়েছে। প্রতিবাদের সময় সেখানে আর ৬ জন নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। এখনও উত্তাল রয়েছে ইরানের পরিস্থিতি। কখনও হিজাব উড়িয়ে দিয়ে আবার কখনও হিজাব পুড়িয়ে সেখানে প্রতিবাদ করছেন মহিলারা। ছাত্রীরাও স্কুলে হিজাব পরছে না। যদিও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এটিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই দাবি করছেন। এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।