বিশ্বব্যাপী ক্রাউড স্ট্রাইকের গোলযোগের জন্য ১৯২টি বিমান বাতিল করল ইন্ডিগো। শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারেরও কয়েকটি বিমান বাতিল করা হয়েছে। যে তালিকায় কলকাতা থেকে ছাড়া এবং কলকাতায় আসা একাধিক বিমানও আছে। আর যে বিমানগুলি চলছে, সেগুলির চেক-ইনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। হাতে লেখা বোর্ডিং পাস জারি করা হচ্ছে যাত্রীদের। আর য𝓰া দেখে অনেকে মজা করে বলেছেন, ‘প্রস্তরযুগে ফিরে যাচ্ছি।’ যদিও শুক্রবারের ঘটনার পরে মার্কিন সংস্থা ক্রাউড স্ট্রাইকের মুখে সেই হাসি থাকার কথা নয়। কারণ রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবারের ঘটনার জন্য নাকি ১৬ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১.৩৫ লাখ কোটি টাকা) খোয়াতে পারে মার্কিন সংস্থা। যা ওই সংস্থার মোট মূলধনের প্রায় ২০ শতাংশ। যে সংস্থার সিস্টেমে বিপত্তির জেরেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। যে ব্যবহারকারীদের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে বিভিন্ন ধরনের 'ক্রাউড স্ট্রাইক সেনসর ভা🉐র্সন' আছে।
ইন্ডিগোর কোন কোন প্লেন বাতিল করা হল —
'প্রস্তর যুগে ফিরে যাচ্ছি', হাতে লেখা বোর্ডিং পাস দেওয়া হল
ক্রাউড স্ট্রাইকের গোলযোগের জন্য ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরেও স্বাভাবিক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে চেক-ইন করতে। সেই পরিস্থিতিতে ইন্ডিগোর তরফে হাতে লেখা বোর্ডিং পাসও জারি করা হয়েছে। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়🌊ে গিয়েছে।&nbsꦗp;
হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় আসার বিমানের বোর্ডিং পাসের ছবি পোস্ট করে এক নেটিজেন লিখেছেন, 'মাইক্রোসফট বা ক্রাউড স্ট্রাইকের গোলযোগের কারণে ভারতের বেশিরভাগে এয়ারপোর্টে 🅺প্রভাব পড়েছে। এই প্রথমবার আমি হাতে লেখা বোর্🍒ডিং পাস পেলাম।' একজন আবার বলেন, ‘প্রস্তর যুগে ফিরে যাচ্ছি।’
ভারতের ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় তেমন প্রভাব পড়েনি, দাবি RBI-র
ক্💛রাউড স্ট্রাইকের গোলযোগের জেরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙ্💛কিং পরিষেবা ব্যাহত হলেও ভারতে সেরকম কোনও সমস্যা হয়নি বলে দাবি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ফলে স্বাভাবিক ছন্দেই ব্যাঙ্কিং কাজকর্ম চলেছে।
আরও পড়ুন: 𒐪CrowdStrike iss🎃ue cases global outage: CrowdStrike-র জন্য যত সমস্যা! ওটা কী আদতে? কী বললেন CEO?
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে যে পুরো গোলযোগ নিয়ে বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে যে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের উপরে একেবারে সামান্য প্রভাব ♕পড়েছে। অল্পবিস্তর সমস্যা হয়েছে ১০টি ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানিতে। যেগুলি সমাধান হয়ে গিয়েছে বা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।