রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশে রুশ মিসাইল বিস্ফোরণের জেরে দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থဣেকে ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত একটি পোলিশ গ্রামে এই মিসাইল ‘হামলা’ হয়। আর এরপরই হাই অ্যালার্টে চলে যায় পোলিশ বাহিনী। উল্লেখ্য পোল্যান্ড ন্যাটোভুক্ত একটি দেশ। এই আবহে পোল্যান্ডে হামলা হলে আমেরিকা সহ সব ন্যাটোভুক্ত দেশ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে ন্যটো প্রধান জেনস স্টোল্টেনবার্গ বলেন, ‘এই বিস্ফোরণ সম্পর্কে সকল তথ্য আগে জানতে হবে। আমি পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেজ দুদার সঙ্গে কথা বলব।’
এদিকে বর্তমানে জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালিতে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোল্যান্ডে মিসাইল হামলা সম্পর্কে অবগত। এই আবহে তিনি জি২০-র মঞ্চে উপস্থিত একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে এই নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পেন্টাগন। পোলিশ প্রেসিডেন্ট নিজে বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন ফোনে। এই আবহে মুখ খুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘যেভাবে রুশ মিসাইল পোল্যান্ডে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলবে। একটি ন্যাটোভুক্ত দেশে রাশিয়ান মিসাইল হামলা! এটা তো সম্মিলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর হামলা। আমাদের এই নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত।’ এদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এই হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা খুবই উদ্বেগজনক। ওয়াশিংটন পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে আলোচলনা করছে।’ এদিকে ব্রিটেনও এই হা💃মলার ওপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছে।
এদিকে পোল্যান্ডে রাশিয়ান মিসাইল বিস্ফোরণের দাবি খারিজ করেছেন রুশ প্রতি♉রক্ষামন্ত্রী। তিনি পালটা দাবি করেন, ‘পোলিশ মিডিয়া রাশিয়ান মিসাইল বিস্ফোরণ সম্পর্কে যে দাবি করছে তা উসকানিমূলক।’ এদিকে এই ঘটনার পরই পোল্যান্ডের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক বসে। তারপরই পোল্যান্ডের সেনাকে হাই অ্যালার্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।