রবিবার এক ড্রোন হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে প্রাণ হারান অন্তত তিনজন মার্কিন সেনা। সেই হামলায় জখম হয়েছেন আরও অনেকে। এই আবহে প্রাথমিক ভাবে ওয়াশিংটনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, জর্ডানে তাঁদের সামরিক ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়। তবে পরবর্তীতে জর্ডান সেই কথা অস্বীকার করে। তারা জানায়, যেই মার্কিন ঘাঁটিত🎀ে এই হামলা হয়েছে, সেটি আদতেও জর্ডানের মাটিতে নয়। বরং সেই সামরিক ঘাঁটিটি জর্ডানের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার মাটিতে অবস্থিত। এই বিষয়ে জর্ডানের সরকারি মুখপাত্র মহম্মদ মুবাইদিন বলেন, 'মার্কিন সেনা জর্ডানের মাটিতে কোনও হামলার সম্মুখীন হননি। এই হামলাটি আল-তানফ অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক বেসে হয়েছিল। সেই ঘাঁটিটি সিরিয়ায় অবস্থিত।' উল্লেখ্য, জিহাদি বিরোধী একটি আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে সেখানে আছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সূচনার পর থেকে এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে কোনও মার্কিন সেনা বিপক্ষের হামলায় মারা গেল। এই আবহে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, 'আমরা এখনও এই হামলা সম্পর্কিত আরও তথ্য সংগ্রহে ব্যস্থ আছি। তবে আমরা এটা জানতে পেরেছি যে ইরানের মদতে ইরাক এবং সিরিয়ায় যে সব জঙ্গি গোষ্ঠী আছে, তারা এই হামলা চালিয়েছিল মার্কিন সেনাদের ওপরে।' এরপরে বাইডেন বলেন, 'এই হা💮মলার জেরে আমরা পিছ পা হব না। আমরা জঙ্গি দমনে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ চালিয়ে যাব। এবং সময়মতো এই হামলার নেপথ্যে থাকা আসল দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেব।'
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর থেকে ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক﷽ বাহিনীর ওপরে ১৫০টিরও বেশি হামলা হয়েছে। তবে এর আগে কোনও মার্কিন সেনা হামলায় প্রাণ হারাননি। এদিকে আমেরিকার ওপর গতকালকের হামলার দায় স্বীকার করেছে 'ইসলামিক রেসিস্টেন্স ইন ই༒রাক' নামক একটি সংগঠন। এই সংগঠন আদতে ইরানের মদতেই কাজ করে বলে অভিযোগ। এই আবহে মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি ইরান এবং আমেরিকার সংঘাত শুরু হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে এই হামলা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে হামাস। গাজার জঙ্গি গোষ্ঠীর মুখপাত্র সামি আবু জুহরি এই বিষয়ে বলেন, 'এই হামলাই প্রমাণ করছে যে গাজায় যদি নির্দোষ মানুষদের হত্যা বন্ধ না হয়, তাহলে মুসলিম দেশগুলি ক্রমেই আমেরি▨কাকে নিয়ে বিরূপ মনোভাব পোষণ করতে শুরু করবে। গোটা মুসলিম বিশ্ব তখন আমেরিকার বিরুদ্ধে চলে যাবে।'
উল্লেখ্য, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের শুরুর প🔯র থেকেই ইয়েমেনের জঙ্গি গোষ্ঠী হুথি তৎপর হয়েছে। ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। এই হুথি গোষ্ঠী ইরানের মদতপুষ্ট বলে দাবি করা হয়। এদিকে শুধু ইজরায়েল নয়, লোহিত সাগর এবং আরব সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপরও ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। ভারতের অর্থনীতিও এর জেরে প্রভাবিত হচ্ছে। এই রুটে বহু জাহাজেই ভারতীয়রা নাবিক হিসেবে থাকেন। তাঁদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এই বিষয়ে ইরানের সঙ্গে কথাও হয়েছে দিল্লির। তবে সাগরে হুথিদের হামলা চলছেই।