বন্ধুরা বলেছিলেন, তাঁদের মাছ খাওয়াতে হবে। তাতে রাজি হননি তেজেন্দ্র যাদব। শুধুমাত্র সেই কারণে ৩২ বছরের ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযো💯গ উঠল, তাঁর ওই 'মাছ খেতে চাওয়া' চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদ𒈔েশের বুদাউন জেলায়।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার বিকেলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তেজেন্দ্র। সঙ্গে 🍸ছিলেন তাঁর চার বন্ধু - ধর্মপাল কাশ্যপ, রূপরাম কাশ্যপ, মহাবীর কাশ্যপ এবং রাম শংকর কাশ্যপ। এঁদের সকলেরই বয়স তিরি🐭শের কোটায়।
অভিযোগ, মাছ ধরতে গিয়েই এই চার বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া💛 হয় তেজেন্দ্র যাদবের। আর তার জেরেই নাকি তাঁকে প্রাণ খোয়াতে হয়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয় দাতাগঞ্জের সার্কেল অফিসার শক্তি সিং জানিয়েছেন, তেজেন্দ্র যে মাছ ধরেছিলেন, তা দিয়েই তাঁকে 'ফিশ পার্টি' দিতে বলেছিলেন তাঁর ওই চার বন্ধু। কিন্তু, তেজে🧸ন্দ্꧋র বন্ধুদের নিজের ধরা মাছ খাওয়াতে রাজি হননি। বদলে তিনি সেই মাছ বাড়ি নিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে দেন।
পুলিশের দাবি, তেজেন্দ্রর এই সিদ্ধান্তেই ক্ষেপে যান তাঁর বন্ধুরা। তেজেন্দ্রকে একসঙ্গে 🦩মিলে মারধর করেন তাঁরা। তাতেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের𒁃। ইতিমধ্যেই ওই চার বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন ধৃতরা।
এদিকে, এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এত সামান্য কারণে যে🎶 কেউ কাউকে খুন করতে পারে, তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না🌊 এলাকার বাসিন্দাদের।
তবে, সত্যিই কেবলমাত্র 'ফিশ পার্টি' না দেওয়ার জন্য চার বন্ধু মিলে আর এক বন্ধুকে পিটিয়ে খুন করার এই ঘটনা ঘটেছে, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ বা চক্রান্ত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশে🦋র তরফে জানানো হয়েছে, তারা খুনের সম্ভাব্য সমস্ত কারণই যাচাই করে দেখবে💛।
অন্যদিকে, তেজেন্দ্রর এমন পরিণত🌄িতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার, পরিজন ও আত্মীয়রা। এক তরতাজা যুবককে এভাবে বেঘোরে প্রাণ দিতে দেখে শোকস্তব্ধ তাঁর প্রতিবেশীরাও।
প্রসঙ্গত, ইদܫানীংকালে সামান♕্য কারণে বচসা এবং তা থেকে হাতাহাতি, মারধর, এমনকী খুনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। দেশের নানা প্রান্তেই এই ধরনের অপরাধের অভিযোগ উঠছে।
বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে♐, আক্রান্ত ও হামলাকা𒀰রী পরস্পরের পরিচিত এবং তাঁদের মধ্য়ে সেই অর্থে বিরাট কোনও শত্রুতা ছিল, এমনটাও নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে প্রত্য়েকেরই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
সমস্য়া হল, আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষই সেটা করে না। তাছাড়া, যাঁদের তেমন আর্থিক সামর্থ্য ಞনেই, তাঁরা তো মানসিক চিকিৎসা করানোর কথা কল্পনাও করতে পারেন না।
মনোবিদদের মতে, সামাজিক ও আর্থিক বৈষম্য,ꩵ পারিবারিক অশান্তি, হিংসা, ঘৃণা, লোভ - এমন নানা কারণে কিছু কিছু মানুষ মুহূর্তেই আততায়ী হয়ে উঠতে পারে।