ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটে গেল শিলংয়ে। পাহাড়ি রাস্তা থেকে নদীতে পড়ে গেল যাত্রীবাহী বাস। চালকের মাপের ভুলের জন্য পাহাড়ের উচ্চতায় খাড়া রাস্তা থেকে নদীতে পড়ে গিয়েছে যাত্রীবাহী বাসটি। পাহাড়ের বাঁক ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে গিয়ে পড়েছে বাসটি বলে মনে 🥂করছে শিলংꦕ পুলিশ।
ঘটনায় চালক-সহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ১৬ জন যাত্রীদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অন্যান্যꦿ বাস যাত্রীদের দেহের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসের মধ্যেই চালক সহ আরেক যাত্রীর দেহ পড়েছিল। নদী থেকে আরও 8 জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে অন্ধকারের বুক চিরে ছুটছিল যাত্রীবাহী বাস। আঁকাবাঁকা খাড়াই রাস্তায় পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বাসটি। অন্ধকারে মাপের ভুলেই মর্মান্ত♐িক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত দশটা নাগাদ ওই যাত্রীবাহী বাসটি মেঘালয়ের তুরা থেকে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে বাসে মোট কতজন যাত্রী ছিলেন সেই সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। রাত বারোটা নাগাদ নোঙচ্রামের উপর দিয়🐈ে যাচ্ছিল ওই যাত্রীবাহী বাসটি। সেই সময় পাহাড়ি রাস্তার বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাসটি। ঘটনার জেরে পাহাড়ের উপর থেকে সোজা রিঙ্গডি নদীতে আছড়ে পড়ে বাসটি। তবে বৃষ্টির কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নাকি চালকের অসাবধানতায়, তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকালয় থেকে অনেক দূরে ঘটনাটি ঘটায় প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা বুঝতে পারেননি। কিন্তু যাত্রীদের আর্তনাদ শোনার পরে ঘটনা𓃲স্থলে ছুটে যান এলাকাবাসীরা। তারপর উদ্ধারকাজে হাত লাগান তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল🐭। উচ্চতা থেকে দড়ি বেঁধে উদ্ধারকারী দলকে নদীতে নামানো হয়। জানা গ👍িয়েছে, বাসের মধ্যে কয়েকজন আটকে থাকলেও অধিকাংশ যাত্রীই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন। সারারাত তল্লাশি চালিয়ে নদী থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীর পাড়গুলিতে নজর রাখতে বলা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।