পাকিস্তানের অত্যাচারী শাসককে দমন করে ১৯৭১ সালে 'জন্ম' বাংলাদেশের। দেশ গঠনের অর্ধশতম বর্ষে বাংলাদেশ। তবে যুদ্ধের এতবছর পরও বহু বাঙালির স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে সেই সময়কার বিভীষিকাময় চিত্র। কয়েক লক্ষ বাঙালির রক্তের বিনিময়ে এসেছিল সেই স্বাধীনতা। তবে দেশকে স্বাধীন হতে দিতে চায়নি বহু রাজাকার। আর সেই লক্ষ্যে পাকিস্তানি সেনাকে মদত করে তারা। শুধু তাই নয়, নিজেরাই বাঙালি দেশবাসীর উপর অত্যাচার চালিয়েছিল তারা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এই সব দেশদ্রোহীদের খুঁজে বের করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেদেশের সরকার। এই চলমান প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বাংলাদেশের যশোর থেকে ৬ রাজাকারকে গ্রেফতার করা হল।মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১৭ সালে মামলা করা হয়েছিল আবুল হোসেন, হোসেন আলি, আবু বক্কর, লুৎফর রহমান, খয়বার রহমান ও নুর ইসলামের নামে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তদন্ত শুরু করে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর শেষ পর্যন্ত এই ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সেদেশের পুলিশ।ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারি অভিযানের নেতৃত্বে ছিলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কর্তা রুপন সরকার ও যশোরের বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজউদ্দিন। অভিযুক্ত রাজাকারদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এলাকায় লুঠপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।