কাকভোরে মুম্বইয়ে ফের ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। রবিবার ভোরে শহরের চেম্বুরের সিদ্ধার্থ কলোনিতে একটি তিনতলা বাড়িতে আগুন লাগে। তাতে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজন নাবালিকাসহ ৭ জনের। নিহতরা সকলেই একই পরিবারের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। দমকলের চেষ্টায় ক♚য়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর বাড়ির সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ৭ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শনির সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড মুম্বইয়ের বহুতলে,꧒ মৃত অন্তত ৬, আহত আরও ১৫
বিএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ভোর ৫ টা ২০ মিনিট নাগাদ। ফলে অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। মৃতদের নাম হল পারিস গুপ্তা (৭), নরেন্দ্র গুপ্তা (১০), মঞ্জু প্রেম গু🐭প্তা (৩🀅০), প্রেম গুপ্তা (৩০), অনিতা গুপ্তা (৩০), বিধি চেদিরাম গুপ্তা (১৫) এবং গীতাদেবী ধরমদেব গুপ্তা (৬০)। মুম্বই পুরসভা থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ওই ভবনটির নিচের তলায় একটি বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকান ছিল। আর উপরের তলায় পরিবারটি থাকত।
প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকানে আগুন লাগে। এরপর ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকায় বাড়িটি দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে আসে। উপরের তলায়ও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা বাড়িতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে দ🌜মকলে খবর দেন। পরে দমকল কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টা🌜য় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মইয়ের সাহায্যে ঘরের ভিতরে ঢুকে দমকল কর্মীরা পরিবারের অগ্নিদগ্ধ সদস্যদের বের করেন। দ্রুত তাদের রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক সকলকে মৃত ঘোষণা করেন। এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
উল্লেখ্য, শনিব💟ার রাতে মুম্বইয়ের ভারত ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট-এর বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। জানা যায়, গত শনিবার রাত ১০.২১ টা নাগাদ সেউড়ি এলাকায় অবস্থিত ভারত ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট- এর ৫ তলা ভবনে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তৃতীয় তলায় অবস্থিত দুটি দোকান আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন, জলের ট্যাঙ্কার, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য পরিষেবা দ্রুত সেখানে পৌঁছয়। অবশেষে গভীর রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।