মণিপুরে গত ৩ মে থেকে শুরু হওয়া হিংসায় এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রায় ২ মাস ধরে উত্তপ্ত থাকার পর ক্রমেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে মনিপুর। কিন্তু এরইমধ্যে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে মণিপুরে। সেখানে মায়ানমারের নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বাড়ছে। সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট সামনে এসেছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে গত দু'দিনে ৭১৮ জন মায়ানমারের নাগরিক অবৈধভাবে মনিপুরে প্রবেশ করেছেন। এর কারণ জানতে অসম রাইফেলসের কাছে জবাব চেয়✅ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। কীভাবে মায়ানমারের এত সংখ্যক নাগরিক অবৈধভাবে মণিপুরে প্রবেশ করল তা নিয়ে অসম রাইফেলসের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর।
আরও পড়ুন: মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সংসদে আলোচন🌊া করতে রাজি কিন্তু ওরা….জানি🔯য়ে দিলেন অমিত শাহ
সাধারণত মণিপুর ও মায়ানমার সীমান্তে নজরদারি চালিয়ে থাকে অসম রাইফেলস। নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কীভ൲াবে মণিপুরে অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়েছে তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে তাঁরা অগ্নেয়াস্ত্র বা গোলাবারুদ নিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করেছে কিনা তা তা শঙ্কায় মণিপুর সরকার। কারণ প্রায়ই মায়ানমার থেকে মণিপুরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ, গত ২২ থেকে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে এই সংখ্যক নাগরিক অবৈধভাবে মণিপুরে প্রবেশ করেছে। অসম রাইফেলসের তরফে জানানো হয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা চান্দেল জেলা হয়ে মণিপুরে প্রবেশ করেছে। প্রসঙ্গত মায়ানমারে হিংসার কারণে প্রায়ই সেখানকার নাগরিকদের অবৈধভাবে মণিপুরে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে বারবার।মণিপুর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে বৈধ ভিসা বা ভ্রমণ ♚নথিপত্র ছাড়া যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় সে বিষয়ে অসম রাইফেলসকে জানানো হয়েছে।
মণিপুর সরকার ইতিমধ্যেই অসম রাইফেলসের কাছে একটি বিশদ রিপোর্ট চেয়েছে। কেন এবং কীভাবে এই নাগরিকদের মণিপুরে প্রবেশ করতে দেওয়া হল তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। অবিলম্বে তাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চান্দেল জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ সুপারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।প্রসঙ্গত, দুমাস ধরে উত্তাল থাকার পর মণিপুর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক🎉 অবস্থায় ফিরছে। তবে অবস্থা এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে মণিপুর সরকার।