দ্রুত ব্যবসা বাড়ানোর সময়ে ঢালাও কর্মী নিয়োগ। আর পরে লাভজনক হয়ে উঠতে ইচ্ছা মতো ছাঁটাই। ভারতের বেশ কিছু স্টার্টআপ ফার্মের যেন নীতিই এটাই। বিশেষত বিভিন্ন অ্যাগ্রিগেটর প্ল্যাটফর্মে এটা যেন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার তার বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র। শনিবার তিনি এই জাতীয় সংস্থাগুলির 'হায়ার অ্যান্ড ফায়ারে'র অভ্যাসকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এর বিরুদ্ধে বিচারবিভাগ, আধিকারিক এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। এই প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলা করার জন্য কোনও উপযুক্ত, নতুন পদ্ধতি গ্রহণের ডাক দিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন: Oyo Layoffs: ৬০০ কর্মীর চাকরি কাড়ল Oyo! 🐠নিচ্ছে ২৫০ জন নয়া লোক
বিজ্ঞান ভবনে ৭৪ তম মানবাধিকার দিবসে বক্তব্য রাখার সময়ে অরুণ কুমার মিশ্র এই কথাগুলি বলেন। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণার(UDHR) স্মরণে ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়। ১৯৪৮ সালের এই বিশেষ দিনেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষꦛদে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার নীতি গ্রহণের ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে মানবাধিকারের রক্ষার্থে ভারতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন(NHRC)🌌 গঠন করা হয়।
পরিস্থিতির ব্যাখা করে তিনি বলেন, 'বিশ্বায়নের ফলে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। কিন্তু সমস্যা হল, কিছু বহুজাতিক সংস্থা এবং কয়েকটি দেশের হাতেই এই সম্পদ রয়েছে। পুঁজির অবাধ বিচরণের ফলে অর্থ নয়ছয় হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের চ্যালেঞ্জ হল, কোনও বিনিয়োগ নেই, এমন এগ্রিগেটর প্ল্যাটফর্মেরও কর্মীদের জীবিকার অধিকার সুনিশ্চিত করা। এদের বেশিরভাগই ডিস্ট্রিবিউটর ম🌌াত্র। তাদের এই একচেটিয়া ব্যবসায়িক প﷽্রবণতার ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে। এরা সহজেই ব্যবসার আকার এবং অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। ফলে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, একচেটিয়া দামে জিনিস বিক্রি করা, কর ফাঁকি দেওয়া, শ্রমিক বিরোধী নীতি, ইচ্ছামতো কর্মী নিয়োগ ও ছাঁটাই করছে এই সংস্থাগুলি।'
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এদিন বলেন, 'বিশ্ব জুড়ে মানবাধিকার নিয়ে এখনও কাজ চলছে।' বিশ্বজুড়ে ঘটা বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও তিনি চিন্তা প্রকাশ করেন। আরও পড়ুন: Video: বিচ্ছিন্ন জ🤡নজাতির দ্বীপে ঢুকে পড়লেন অস্ট্রেলিয়ার ইউটিউবার! তারপর যা হল…
এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন﷽ কোনও সংস্থার নাম বলেননি। তবে সম্প্রতি বেশ কয়ে༺কটি অ্যাগ্রিগেটর সংস্থা এবং স্টার্ট-আপ কর্মীদের ছাঁটাই করছে বলে খবর মিলেছে। ফুড অ্যাগ্রিগেটর Zomato সম্প্রতি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রায় ৩% কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে। লার্নিং অ্যাপ সংস্থা Byju's খরচ কমাতে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও তারা ফিফা, লিওনেল মেসির মতো স্পনসরশিপ ডিলে জড়াচ্ছে। আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। শুধু ভারতীয় সংস্থাই নয়। সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটাও সম্প্রতি তার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মোট কর্মী সংখ্যার প্রায় ১৩%-কে ছাঁটাই করেছে।