হরিদ্বারের ধর্মসংসদ ইস্যুতে রীতিমতো সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এদিকে, গোটা ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে দেশ জুড়ে। এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই)এন ভি রমানার কাছে এই ইস্যুতে চিঠি গেল দেশের তাবড় ৭৬ জন আইনজীবীর। ধর্মীয় সমাবেশ থেকে নরসংহারের ডাক ঘিরে যে ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস) হরিদ্বার থেকে উঠে এসেছে, তা নিয়ে কার্যত নড়েচড়ে বসেন দেশের আইনজীবীরা। ধর্মীয় এই সমাবেশে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য উঠে আসা ঘিরে এই আইনজীবীরা যে উদ্বিগ্ন তা তাঁরা জানান দিয়েছেন চিঠিতে।সুপ্রিম কোর্টের এই ৭৬ জন আইনজীবী তাঁদের চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, এভাবে প্রকাশ্য ধর্মীয় সমাবেশে ঘৃণার বার্তা ছড়ানো নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে গিয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যাতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তার জন্য আর্জি জানিয়েছেন এই বিশিষ্ট আইনজীবীরা। যে ৭৬ জন আইনজীবীর চিঠি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছে, সেই আইনজীবীদের তালিকায় নাম রয়েছে, সলমন খুরশিদ, দুষ্মন্ত দাভে, প্রশান্ত ভূষণ,বৃন্দা গ্রোভার, অঞ্জনা প্রকাশের। উল্লেখ্য, যে দুটি ধর্মীয় সমাবেশের প্রেক্ষাপটে এই চিঠি লেখা হয়েছে, তাতে হরিদ্বার ও দিল্লির ধর্মীয় সমাবেশের উল্লেখ রয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঘটনা 'দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনকই নয় ' এর সঙ্গে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও জীবনের প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে।উল্লেখ্য, হরিদ্বারে গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি ধর্ম সংসদ আয়োজিত হয়। সেখানে এক বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধাচারণ করে একাধিক বক্তব্যের ভিডিও ক্রমেই ভাইরাল হতে থাকে। এরপর বিষয়টি নিয়ে কার্যত তোলপাড় শুরু হয় উত্তরাখণ্ড জুড়ে। ঘটনার জেরে, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগে প্রথমে জিতেন্দ্র ত্যাগী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। যিনি ধর্ম পরিবর্তনের আগে ওয়াসিম রিজভি নামে পরিচিত ছিলেন। ইনি উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান। এদিকে, পরবর্তীকালে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আরও দুজনের নাম এফআইআর-এ সংযুক্ত করে। বাকি দুই অভিযুক্ত সন্ন্যাসী বলে জানা গিয়েছে।