উদ্বোধন করা হবে নতুন সংসদ ভবনের। দিন ঠিক হয়েছে ২৮ মে। আর সেই সংসদ ভবনের ভেতর একটি ঐতিহাসিক প্রতীককে এবার ঠাঁই দেওয়া হচ্ছে। স্পিকারের আসনের কাছেই থাকবে সেটি। তামিলনাড়ুতে এটি সেঙ্গল নামে পরিচিত। সেই ঐতিহাসিক সেঙ্গলই এবার স্থান পাবে নয়া সংসদ ভবনের ভেতরে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঐতꦕিহাসিক সেঙ্গলের প্রেক্ষাপটটা তুলে ধরেছেন।
আসলে এটꦑি হল রাজদণ্ড। সেই রাজদণ্ডই রাখা থাকবে স্পিকারের আসনের সামনে। অমিত শাহ জানিয়েছেন, স্বাধীনতার সময় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হল এই সেঙ🔯্গল।
এদিকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক নথিপত্রে, রিপো𒅌র্টে এই সেঙ্গলের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। একটু জেনে নেওয়া যাক এই রাজদণ্ডের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটা ঠিক কী?
ব্রিটিশ শাসনে শেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। কথিত আছে তিনি নাকি সরাসরি পণ্ডিত জওহরলাল নেহের🦩ুকে প্রশ্ন করেছিলেন, এই যে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে তার প্রতীক কী থাকবে?
সেই সময় গভর্নর জেনারেল সি গোপালাচারি জানিয়েছিলেন একটা তামিল🐬 ঐতিহ্য আছে যে পুরোহিত একটি রাজদণ্ড তুলে দেন। আর সেটাই ক্ষমতা হস্তান্তরের একটা প্রতীক। তিনি জানিয়ে দেন ಌএটা আসলে চোল সাম্রাজ্য়ের একটা রীতি ছিল। সেটা ভারতের বর্তমান ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হতে পারে। এরপর সি গোপালাচারি ব্রিটিশের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য় এই রাজদণ্ড ব্যবহার কীভাবে হবে তার পরিকল্পনা তৈরি করেন। এরপর তিনি সেই সময় থিরুভাদুথুরাই আথিনামে যান। সেখানে প্রধান পুরোহিত এই কাজ করতে সম্মত হয়েছিলেন।
এরপর এক বিখ্যাত স্বর🗹্ণকার এই রাজদণ্ড তৈরি করেন। প্রায় ৫ ফুট লম্বা এই সোনার রাজদণ্ড। তার মাথার সামনের দিকে একটা নন্দীর মূর্তি রয়েছে। এটা ন্যায় বিচারের প্রতীক।
এদিকে প্রাচীন নথি অনুসারে জানা যায়, সেই সময় মঠের এক প্রবীণ পুরোহিত গঙ্গাজলে এই রাজদণ্ডকে পবিত্র করে তা স্বাধীনতার মধ্যরাতে ঠিক ১৫ মিনিট আগে জওহরলাল নেহেরুর হাতে দেওয়া হয়েছিল। সেই রাজদণ্ডই এবার শোভা পাবে নয়া সংসদে। এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী ছিল 𝓰এই রাজদণ্ড।