ভারতের অগ্রগতি রুখতে পেগাসাস ‘হ্যাক’ নিয়ে হইচই করা হচ্ছে। যা আদতে ভারতের ‘বিঘ্নকারী’-দের জন্য বিদেশের ‘বিভেদ꧒কারী’-দের তৈরি প্রতিবেদন। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে’।
একটি বিবৃতিতে শাহ বলেন, ‘হালকা মেজাজে মানুষ প্রায়শই এই বাক্যের সঙ্গে আমার যোগসূত্র বের করে থাকে♉ন। কিন্তু এই বাছাই করা ফাঁস, বিঘ্নিত করার চেষ্টার সময় নিয়ে আমি আজ সত্যিই বলতে চাই, আপ ক্রোনোলজি সামাঝইয়ে। এটা হচ্ছে বিঘ্নকারীদের জন্য বিভেদকারীদের তৈরি প্রতিবেদন। বিভেদকারী হল বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলি, যারা চায় না যে ভারত উন্নতির পথে এগিয়ে যাক। বিঘ্নকারী হলেন ভারতের রাজনৈতিক খেলোয়াড়রা, যাঁরা ভারত এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি চান না। এই ধরনের কালপঞ্জি এবং যোগসাজ𒁃শ বোঝার ক্ষেত্রে ভারত দুর্দান্ত।’
রবিবার ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য ওয়ার’-সহ ১৭ টি সংবাদমাধ্যমের একটি গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘পেগাসাস’ নামে পরিচিত একটি ফোন হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী হাজার-হাজার মানুষকে নিশানা করা হয়েছিলౠ। তারইমধ্যে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার ওই প্রতিবেদনগুলিকে ‘মাছ ধরার অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করে। সঙ্গে জানায়, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর সরকারি নজরদারি চলছে, সেই দাবির স্বপক্ষে কোনও মজবুত ভিত্তি বা সত্যতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, ‘মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রতিজ্ꦓঞা হল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি। আমরা সর্বদা খোলামেলা কথোপকথনের সংস্কৃতিতে জোর দিয়ে একটি অবগত নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকেছি।’
তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি। শাহের দাবি, বাদল অধিবেশন শুরুর আগের সন্ধ্যায় কয়েকটি গোষ্ঠীর তরফে একটি রিপোর্ট নিয়ে হইচই শুরু হয়। সেই গোষ্ঠীগুলির একমাত্র লক্ষ্য হল, বিশ্বের মঞ্চে ভারতকে অপদস্থ করতে যা কিছু করা সম্ভব, তা করতে হবে; ভারতের বিষয়ে সেই পুরনো বস্তাপচা ব্যাখ্যা দেওয়া হবে এবং উন্নয়নের পথ থেকে ভারতকে সরিয়ে দিতে হবে। সোমবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পরিচয় করানোর সময় বিরোধীদের হট্টগোলের বিষয়ে শাহ দাবি করেন, এমন সব শক্তি আছে, যারা ভারতের উন্নতি সহ্য করতে পারে না। কিন্তু ‘ষড়যন্ত্র করে বিঘ্নকারী এবং বিভেদকারীরা ভারতকে উন্নয়নের পথ থেকে সরিয়ꦡে দিতে হটাতে পারবে না।’