কোভিডকালে নিজের সরকারি বাসভবনের সৌন✤্দর্যায়নে ৪৫ কোটি খরচ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এমনই অভিযোগ তুলে নৈতিকতার খাতিরে কেজরির পদত্যাগ দাবি করেছিল বিজেপি। এই ঘটনায় এবার সাফাই দিল দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ছাদে তিনবার ধস নামে। এরপরই পিডাব্লুডি-কে ভ꧙বনের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, কেজরিওয়াল এবং তাঁর মা-বাবার ঘরের ছাদে ধস নেমেছিল। এমনকী কেজরিওয়াল যে ঘরে লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন, সেই ঘরের ছাদেও ধস নামে। প্রসঙ্গত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনটি ৮০ বছর পুরোনো। এদিকে আম আদমি পার্টির আরও দাবি, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বাড়িরও মেরামতি হয়। তাতে ১৫ কোটি টাকা খরচ হয়।
এদিকে কেজরির বাংলো মেরামতি সংক্রান্ত নথি থেকে জানা যাচ্ছে যে এই নির্মাণ কাজের জন্য সরকারের তরফে মোট ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার অনুমোদ🍎ন দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্মাণকাজ শেষ করতে মোট ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। সিভিল লাইন্সের ৬ নং ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে অবস্থাত এই বাসভবনের পুনঃনির্মাণে মোট ছয় দফায় টাকা খরচ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এই টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানা 🌟যাচ্ছে নথি থেকে। নথি থেকে আরও জানা যাচ্ছে যে বাসভবনের ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশনেই খরচ হয়েছিল ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এদিকে ফ্লোরে পাথর বসানোর ক্ষেত্রে খরচ হয়েছিল ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। এদিকে ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশনের কন্সাল্টেশন ফি বাবদ খরচ হয়েছিল ১ কোটি টাকা।
এদিকে বাসভবনের ইলেক্ট্রিক ফিটিংয়ের জন্য ২.৫৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এদিকে ইলেক্ট্রিক ফিটিং এবং অ্যাপ্লায়েন্স বাবদ খরচ হয়েছিল ২.৮৫ টাকা। এদিকে ওয়ার্ডরোব ফিটিংয়ে খরচ হয়েছিল ১.৪১ কোটি টাকা। রান্নাঘর সাজাতে খরচ হয়েছিল ১.১ কোটি টাকা। এদিকে কেজরিওয়ালের ক্যাম্প অফিসের ওপর ✨খরচ করা হয়েছে ৮.১১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে কোভিড অতিমারি তুঙ্গে ছিল। সেই সময়কালে বায়ুদূষণ রুখতে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। গেরুয়া শিবিরের তরফে অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নিজের সরকারের নিষেধাজ্ঞাই অমান্য করেছেন। এই অভিযোগের জবাবে এবার পালটা সাফাই দিল আম আদমি পার্টি।