শুধু ধর্ষক নয়, অপরাধে তার সহায়তাকারীও সমান দোষী। শুক্রবার পকসো আইনে অভিযুক্ত এক যুবক সম্পর্কে এই মন্তব্য করল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ।নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় পকসো আইনে বছর আঠাশের ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপরাধে সহায়তা করার কারণে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। এ দিন হাইকোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, ধর্ষণ না করলেও বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে এবং তার সামনে পাহারায় থেকে ধর্ষণকারীকে প্রত্যক্ষ সাহায্য করে অভিযুক্ত।আদালত জানিয়েছে, নিগৃহীতাকে ধর্ষণের জন্য অর্থ পুরস্কার দেওয়ার টোপ দেওয়া এবং তাকে উদ্ধার করতে এলে নাবালিকার দিদিকে বাধা দেওয়ার জন্য সমান অপরাধে দোষী ওই যুবক। এই কারণে ধর্ষণকারীর সমান শাস্তিই তার প্রাপ্য।২০১৭ সালের অগস্ট মাসে এক নাবালিকা ধর্ষণ মামলার শুনানিতে অভিযুক্ত যুবক সুনীল রামটেকের তরফে তার আইনজীবী অমিত বন্দের পেশ করা আবেদনের শুনানিতে এমনই মন্তব্য করে বিচারপতি ভি এম দেশপান্ডের এক সদস্যের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নাগপুরের অতিরিক্ত যুগ্ম দায়রা বিচারক এই মামলায় রামটেককে ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই রায়ের আবেদনে রামটেকের আইনজীবী হাইকোর্টে দাবি করেন, নাবালিকার সম্মতিতেই যৌন মিলন ঘটে এবং এই ঘটনায় তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে।সেই আবেদনের বিরোধিতায় সরকারের তরফে পালটা বিবৃতি দেওয়া হয় আদালতে। পুলিশ ও মেডিক্যাল অফিসারের বয়ান অনুযায়ী, নিগৃহীতাকে ঠেলে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েচিলস রামটেক। সে জানত, বন্ধ ঘরের ভিতরে ধর্ষক উপস্থিত রয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি এম জে খান হাইকোর্টকে বলেন, ধর্ষণে মূল অভিযুক্তর সঙ্গে যৌন মিলনে আপত্তি না জানানোর জন্য নিগৃহীতাকে টাকার লোভ দেখায় রামটেক। সেই সঙ্গে, নাবালিকার দিদিকেও সে উদ্ধারকাজে বাধা দিয়েছিল।দুই তরফের সওয়াল-জবাব শোনার পরে এ দিন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে জানায়, যে হেতু ভারতীয় দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় ধর্ষণে সহায়তার জন্য অভিযোগে কোনও শাস্তির বিধান নেই, সেই কারণে এ ক্ষেত্রে ধর্ষককে দেওয়া শাস্তি তার সাহায্যকারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।