গত অধিবেশনের ‘কীর্তি’র জন্য চলতি সংসদ অধিবেশনের প্রথমদিন সাসপেন্ড করা হয়েছিল র🐼াজ্যসভার ১২ বিরোধী সাংসদকে। সেই তালিকায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীও। বিগত দিনে নিজেদের সাসপেনশনের বিরোধিতা করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। মঙ্গলবার শান্তা-দোলাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বনꦬ্দ্যোপাধ্যায়ও। শান্তনু সেন এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতারাও অভিষেকের সঙ্গে ধরনা দেন সেখানে। আর আজ বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশন ইস্যুতে একজোটে ১২০ জন বিরোধী সাংসদ ধরনায় বসতে চলেছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।
বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদে ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের। এমন কি সাংসদ সাসপেনশন ইস্যুতেও কংগ্রেসে𒆙র পথে হেঁটে ওয়াকআউট করতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে। তবে ধরনা মঞ্চে মাঝে মাঝে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসকে। তৃণমূল&nbs💜p;‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণ করলেও বিজেপি বিরোধী বাকি সব দলই এখনও কংগ্রেসের দেখানো পথেই হাঁটছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির রাজনীতিতে ক্রমেই একলা হয়ে যাচ্ছে মমতার দল। তবে সাংসদ সাসপেনন ইস্যু ফের তৃণমূল ও কংগ্রেসকে কাছাকাছি আনতে পারে। বিজেপি বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করতে পারে।
এই আবহে এবার সাসপেন্ডেড ১২ জনের পাশে দাঁড়াতে ভর্না দেবেন ১২০ জন বিরোধী সাংসদ। রাজ্যসভার অধ্যক্ষ বেঙ্কাইয়া নাইডু&🌟nbsp;যতক্ষণ না শাস্তি প্রত্যাহার করছেন, ততক্ষণ এই ধরনা জারি রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই সংসদ চত্বরে 🉐বিরোধী দলের ১২০ জন সাংসদ ধরনায় বসবেন। একইসঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার লোকসভার বিরোধী দলগুলির সাংসদরাও গান্ধী মূর্তির সামনে ধরনায় যোগ দেবেন। ধরনায় বসার মাধ্যমেই ফের কিছুটা কাছাকাছি আসছে বিরোধী দলগুলি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরীর সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যসভায় বিরোধী দলগুলির অবস্থান ও আগামিদিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও তৃণমূলের সাংস🌃দদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন গতকাল। প্রসঙ্গত, চলতি অধিবেশনে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী দলের কোনও বৈঠকেই যোগ দেয়নি তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে সাসপেনশন ইস্যুতেও কংগ্রেসের থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখেছে ঘাসফুল শিবির। এখ💛ন দেখার বিষয় ধরনা মঞ্চে রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টায় কিনা।