সোমবܫার রাতে দক্ষিণ দিল্লির অ্যাম্বিয়েন্স মলে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। আসলে হঠাৎ করেই মলের ছাদের একটা বড় অংশ ✤ভেঙে নীচে পড়েছে। এরপর চারিদিকে শুধু ধুলো আর ছাদের ভাঙা অংশ ছড়িয়ে গিয়েছিল। তবে এ দুর্ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার খবর নেই। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এখন তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বসন্ত কুঞ্জের অ্যাম্বিয়েন্স মলের সেন্ট্রাল হলে। ছাদের একটি বিশাল অংশ মেঝে এবং এসকেলেটরের উপর পড়ে। ছাদের একটি অংশও ব্যাপক ক্ষতি📖গ্রস্ত হয়েছে। ছাদের বড় অংশ ধসে পড়ায় মলটিরও ক্ষতি হয়েছে। 🧸তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চলছে। যতদূর সম্ভব মলের কেন্দ্রীয় হলে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনার একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে যে মলটির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় এবং এস্কেলেটরে ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে।
রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত মলের উপরের অংশে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। এরপর উপরের অংশের𓂃 ছাদে কোনও ত্রুটি হওয়ায় পুরো সিলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাটি রাতে ঘটলে কেউ হতাহত না হলেও দিনের বেলায় যদি এই ছাদ ধসত, তাহলে দুর্ঘটনায় বহু মানুষ আহত হয়ত হতে পারতেন।
ডিসিপি (দক্ষিণ-পশ্চিম) রো🅰হিত মীনা বলেছিলেন, 'ছাদটি ধসে পড়েছে এসকেলেটরের কাছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১২.৪৭ টার দিকে। এখনও পর্যন্ত কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আরও তদন্ত চলছে।' এ প্রসঙ্গে দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অতুল গর্গ বলেছেন যে তাঁরা এই ঘটনার বিষয়ে কোনও কল বা তথ্য পাননি। পুলিশ তদন্ত করবে।
লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় মলটি বন্ধ ছিল। মলের ভেতরে নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। পুলিশ বলছে, এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। পুলিশ মলের দোকানদার ও গার্ডের বক্তব্য নিচ্ছে। সেসব বক্তব্যের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনাটি ঘটে যাও💯য়ার একই দিনে গ্রেটার নয়ডার ব্লু স্যাফায়ার মলে সিলিং গ্রিল ভেঙে পড়েছিল। গ্রিলের নিচে চাপা পড়ে দুই ব্যক্তি, একজন দোকানদার ও দোকানের কর্মীরা মারা গিয়েছেন। ছাদের একটি অংশ ধসে যাওয়ার সময় তাঁরা মলের ভিতরে এসকেলেটরের দিকে হাঁটছিলেন। নিহতরা গাজিয়াবাদের বিজয়নগরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।