‘এক দেশ, এক ভোট ’ কমিটিতে নাম ঘোষণার পর অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে কমিটি থেকে সরে এসে ছিলেন অধীর চৌধুরী। 'এক দেশ এক ভোট' এক ভোট সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা নিয়ে যে কমিটি গঠিত হয়েছে, থাকা নিয়ে প্রথমে অধীর চৌধুরী সম্মত ছিলেন বলে, এক সরকারি সূত্রের দাবিকে তুলে ধরেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। স♌ংবাদ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, এই সরকারি সূত্রের দাবি, কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে পর্যন্ত অধ🐷ীর চৌধুরী ওই সদস্যপদে সম্মতি জানিয়েছিলেন, তবে পরে তিনি সেই কমিটি থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, শনিবার এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত এই কমিটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এদিকে, সদ্য কংগ্রেস সমেত ২৮ টি দলের INDIA জোটের হাইভোল্টেজ বৈঠকে একসঙ্গে সব কয়টি দল এই ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতর বিরোধিতা করে। এদিকে, সেই কংগ্রেসেরই সদস্যকে এই কমিটিতে রাখা নিয়েও দিল্লির বুকে আলোচনা কম হয়নি। ৮ সদস্যꦓের ওই কমিটিতে অধীর চৌধুরীর থাকাকে কি ইন্ডিয়া জোট মেনে নেবে? কংগ্রেসের রাজনীতির ক্ষেত্রে কি এই সদস্যপদ বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে? এমন প্রশ্ন উঠছিলই। তারপরই অধীর চৌধুরী চিঠিতে জানান, ‘ টার্মস অফ রেফারেন্সকে’ সেখানে যে প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছে, তাতে এর উপসংহার কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। তিনি চিঠিতে লেখেন, যেভাবে হঠাৎ করে সাংবিধানিকভাবে সন্দেহজনক, বাস্তবসম্মতভাবে সম্ভব নয়, যুক্তির দিক দিয়ে কোনও মতেই লাগু হয় না, এমন বিষয়কে সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা সরকারের একরোখা মনোভাবের পরিচায়ক।
এর আগে, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক, এই কমিটিতে ৮ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করেছিল। সেই সদস্যদের মধ্যে রামনাথ কোবিন্ಌদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অধীর চৌধুরি, গুলাম নবী আজাদ, এন কে সিং, সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুভাষ সি কাশ্যপ, হরিশ সালভে এবং সঞ্জয় কোঠারির নাম সামনে আসে। পরে অধীর চৌধুরী এই কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। উল্লেখ্য, সামনেই রয়েছে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তারপর রয়েছে ২০২৪ লোকসভা ভোট। উল্লেখ্য, ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত এই কমিটি সেই বিধানসভা ভোট ও ল𓄧োকসভা ভোটের আগে তৈরি হয়েছে। ফলত জল্পনা ছিল যে, তাহলে কি লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতে চলেছে? আর তার জন্যই কি এত তোড়জোড়, কমিটি গঠন ভোটর আগে? তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলে এদিন অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের।