কর্ডেলিয়া প্রমোদতরীতে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। তবে সেই মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন আরিয়ান। আর এই ঘটনার পরই মাদক চক্র ফাঁসের নীতিতে বদল আনতে চলেছে এনসিবি। এক নির্দেশে বলা হয়েছে, এনসিবির সব শীর্ষ কর্তারা যেন ‘বড়’ রিংয়ের খোঁজ লাগান। বলার অর্থ এই, ছোটখাটো মাদক মামলায় এই মুহূর্তে যাতে না জড়ায় এনসিবি।এনসিবির শীর্ষ কর্তা এসএন প্রধান বাকি আধিকারিকদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, এনসিবি যাতে ছোটখাটো মামলায় জড়িয়ে নিজেদের শক্তি ক্ষয় না করে। বড় সিন্ডিকেট বা আন্তর্জাতিক মাফিয়ারাই যাতে সংস্থার নজরে থাকে। উল্লেখ্য, সমীর ওয়াংখেড়ে শাহরুখ পুত্রকে ধরার পর থেকেই বিভিন্ন বিতর্কে নাম জড়িয়েছে তাঁর। এনসিবির ভাবমূর্তিও এতে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত শাহরুখ পুত্র বেকসুর খালাসও হয়েছেন।এই আবহে সংবাদ সংস্থাকে এসএন প্রধান বলেন, ‘আমি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছি যে সংগঠিত সিন্ডিকেট এবং আন্তর্জাতিক লিঙ্ক জড়িত রয়েছে, শুধুমাত্র এমন বড় মামলারই তদন্ত করবে এনসিবি। প্রতিটি ছোট মাদক মামলার তদন্ত করা আমাদের কাজ নয়। আমাদের সীমিত সম্পদ এবং সময় আছে। স্থানীয় পুলিশ এ ধরনের মামলার তদন্ত করতে পারে।’এর আগে শুক্রবার কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে কোর্ডেলিয়া প্রমোদতরী মাদক মামলায় ক্লিনচিট দেওয়া হল আরিয়ান খানকে। শাহরুখ খান পুত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এনসিবি। এর জেরে স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে এনসিবির গ্রহণযোগ্যতা এবং কর্মপদ্ধতি। গতবছর ২ অক্টোবর কোর্ডেলিয়া ক্রুজে রেইড করেছিল এনসিবির যে দল তাঁদের তদন্তে বিস্তর গরমিল পাওয়া গিয়েছে তা একপ্রকার মেনে নিয়েছে এনসিবি।