শিশির গুপ্ত
সংঘর্ষ-বিরতির আচমকা যৌথ বিবৃতিতে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। তবে হঠাৎ করেই মোটেও সেই সমঝোতা হয়নি। বরং নাম গোপন রাখার শর্তে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণরেখা শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্𓆉য গ🧜ত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের প্রতিনিধি মইদ ডব্লিউ ইউসুফের সঙ্গে তলেতলে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই ‘ব্যাক ডোর’ আলোচনার দরুণ আপাতত সীমান্তে সংঘর্ষে বিরাম টানা সম্ভব হয়েছে।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা শাখা এবং কৌশলগত নীতি পরিকল্পনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সহকারীর সঙ্গে সরাসরি এবং গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনা করে গিয়েছেন ডোভাল। এমনকী তৃতীয় একটি দেশে কমপক্ষে একবার মুখোমুখি বৈঠকে বসেন দুই প্রতিনিধি। কোথায় সেই বৈঠক হয়েছিল, তা অবশ্য জানাননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর-স▨হ সরকারের শীর্ষস্তরের কয়েকজন সেই আলোচনার বিষয়ে জানতেন।
যদিও বৃহস্পতিবা♛র রাতের দিকে সেই আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে তৎপর হয়েছেন ইউসুফ। একাধিক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমার এবং ডোভালের মধ্যে এরকম কোনও আলোচন♒া হয়নি। ডিজিএমওয়ের (ডিরেক্টর জেনারেলস মিলিটারি অপারেশনস) নির্ধারিত চ্যানেলের আলোচনা ফল হিসেবে নিয়ন্ত্রণরেখার ফল মিলেছে। সেটি স্বাগত জানানো হচ্ছে।’
তবে এই প্রথম দু'দেশের সেনার শীর্ষ কর্তারা আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছেন, এমন নয়। কঠোরভাবে ২০০৩ সালের সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে ২০১৮ সালেও একইভাবে একমত হয়েছিলেন তাঁরা। তা অবশ্য আখেরে খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মত, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে যৌথ বিবৃতি প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। ধাপে ধাপে এক🍷-একটি পদক্ষেপ নেওয়া হতে🌟 পারে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।