মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর তোলা প্রশ্নের জবাব দিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল, ২০২৫) ন🌊ির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই এই সংক্রান্ত তথ্য সামনে এনেছে।
তাতে জানানো হয়েছে, এবারের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ৬,৪০,৮৭,৫৮৮ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। গড়ে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫৮ লক্ষ ভোট পড়েছে। এই গড় প্রবণতা অন🐭ুযায়ী দুই ঘণ্টায় প্রায় ১১৬ লক্ষ ভোটার ভোট দিতে পারতেন। সেখানে দুই ঘণ্টায় যদি ৬৫ লক্ষ মাജনুষও ভোট দেন, তাহলেও তা চলতি ট্রেন্ডের গড় হিসাবের তুলনায় অনেকটাই কম।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশ💫নের সঙ্গে সরকারের আঁতাত রয়েছে।
আমেরিকার বস্টনে রাহুল দাবি করেন, ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থায় কিছু গলদ রয়েছে। রবিবার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, 'সহজ কথায়, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যার চেয়ে বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন আ🍎মাদের বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ভোটের তথ্য দিয়েছে এবং বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধে সাড়ে সাতটাꦺর মধ্যে ৬৫ লক্ষ ভোটার ভোট দিয়েছেন!'
কংগ্রেস নেতা বলেন, 'এত লোকের পক্ষে একসঙ্গে একই সময়ে বুথে পৌঁছে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর মতে, একজন ভোটারের ভোট দিতে প্রায় ৩ মিনিট সময় লাগে। যদি হিসাব করা হয়, তাহলে ভোটারদের লাইন 🦂রাত ২টো পর্যন্ত থাকার কথা থাকলেও, তেমনটা হয়নি। আমরা যখন তাদের (কমিশের) কাছে ভিডিও রেকর্🃏ডিং চেয়েছিলাম, তখন তারা কেবল তা প্রত্যাখ্যানই করেনি, তারা আইনও পরিবর্তন করেছে - যাতে এখন আমরা ভিডিওগ্রাফি করানোর দাবিও না জানাতে পারি।'
রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগের প্রতিক🍨্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, 'কোনও ব্যক্তির দ𝔍্বারা ভুল তথ্য ছড়ানো শুধু আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনেরই লক্ষণ নয়, এমন আচরণ তাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক দলেরও হাজার হাজার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির প্রতি অসম্মান প্রদর্শন। এই ধরনের বক্তব্য লক্ষ লক্ষ নির্বাচনী কর্মীর মনোবল ভেঙে দেয় - যাঁরা নির্বাচনের সময় অক্লান্ত পরিশ্রম ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেন। ভোটারদের পক্ষ থেকে মনের মতো সাড়া না পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনকে আপসকারী বলে দেগে দেওয়া, তাদের বদনাম করার চেষ্টা করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।'
প্র﷽সঙ্গত, ভারতে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয় ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং ১৯৬০ সালের ভোটার রেজিস্ট্রেশন রুলস অনুসারে। আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের ঠিক আগে বা প্রতিবছর একবার ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়। ভোটার তালিকার চূড়ান্ত অনুলিপি সমস্ত জা⭕তীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলির (ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-সহ) কাছে জমা দেওয়া হয়।
কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বক্তব্য হল, দেশের সব 💧নির্বাচনই আইন অনুযায়ী হয়। ভারতে যে বিপুল মাত্রায় এবং নির্ভুলভাবে নির্বাচন পরিচালিত হয়,তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। গোটা দেশ জানে যে - ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোটদান ও গণনা-সহ প্রতিটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় সরকারি কর্মচারীদের দ্বারা। এটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের দ্বারা নিযুক্ত বা অনুমোদিত প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পরিচালিত হয়।'