ধর্মের ছুতোয় প্রার্থনা জোরজবরদস্তি করে স্কুলের প্রার্থনা পালটানꦇো হয়েছে। এমনই অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠল ঝাড়খণ্ড। বিষয়টি নিয়ে ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী জগরনাথ মাহতো জানিয়েছেন, যাঁরা জোরজবরদস্তি সেই কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সরকারি স্কুলে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ কোনওরকমভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
কী হয়েছিল ঘটনাটি?
দৈনিক জাগরণ-সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডের একটি জেলায় অবস্থিত একটি জুনিয়র হাইস্কুলে কট্টরপন্থীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে বলে অভিযোগ। যে গ্রামের স্কুলে সেই ঘটনা ঘটেছে, সেই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ সংখ্য🔴ালঘু সম্প্রদায়ের। অভিযোগ, তারা স্কুলের প্রার্থনা পরিবর্তনের জন্য প্রধান শিক্ষকের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সেইসঙ্গে বাচ্চারা হাতজোড় করতে পারবে না বলে ফতোয়া জারি করা হয়। লাগাতার স্কুলের উপর চাপ তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রবল চাপের মুখে স্কুল কর্তৃ🌱পক্ষ প্রার্থনা পালটে দিতে বাধ্য হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবিꦏ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামবাসীদের চাপের মুখে ‘অব দয়া কর দান’-র পরিবর্তে 'তু হি রাম, তু হি রহিম' প্রার্থনা চালু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, গ্রামে যে সম্প্রদায়ের মানুষের বাস, তাঁদের কথামতো প্রার্থনা সংগীত বেছে নিতে হবে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।