কর্নাটকে বি এস ইয়েদুরাপ্পার মন্ত্রিসভায় অশান্তি দানা বেঁধেছিল। মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ এনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী কেএস ইশ্বরাপ্পা। দু'জনের মধ্যে টানাপোড়েন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আসরে নামতে হয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে ছাড়েনি কংগ্রেস।কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যপালের উচিত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা। যদিও পরে ইশ্বরাপ্পা দাবি করেছেন, তিনি কখনও 'বিদ্রোহী' ছিলেন না। বরং দলের 'অনুগত সৈনিক' ছিলেন। তিনি বলেন, 'আমি বিদ্রোহী নই, আমি অনুগত। গোড়া থেকেই আমি অনুগত ছিলাম। আমার দলের বিরুদ্ধে কখনও বিদ্রোহ করব না।' সেই ইশ্বরাপ্পাই অবশ্য ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। করেছিলেন, সম্প্রতি ১,২৯৯ কোটি টাকার তিন প্রকল্পের অনুমোদন দেননি তিনি। কিন্তু তাঁকে অন্ধকারে রেখে দফতরকে চাপ দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, যাতে ওই সব প্রকল্পগুলি অনুমোদন পেয়ে যায়। সেই প্রসঙ্গে পরে সাফাই গেয়ে ইশ্বরাপ্পা দাবি করেন, তাঁর অজ্ঞাতেই বেঙ্গালুরু নগরোন্নয়ন পঞ্চায়েতকে ৬৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তারপর প্রথম কিস্তিতে ৭৭৪ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইয়েদুরাপ্পাকে চিঠি লিখেছিলেন। পাশাপাশি নিজেই অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছিলেন দাবি করেন ইশ্বরাপ্পা।