চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ। রাস্তায় ইতিউতি পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। নিথর সেই দেহের কাছে আসছে পথচলতি কুুকুর। খিদের জ্বালায় থাকা সেই সব কুকুর রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদ♌েগুলিকে খেতে শুরু করছে। এই করুণ ছবি গাজার। যুদ্ধের নির্মম বাস্তবের ছবি ফুটে উঠেছে উত্তর গাজায়। এমনই দাবি গাজার ইমার্জেন্সি সার্ভিসেসের ফোয়ার্স আফানার। গাজায় ইমার্জেন্সি সার্ভিসেসের প্রধান ফেয়ার্স আফানা জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় বেশ কিছু প্যালেস্তিনীয়র দেহ এমন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, যেখানে পশুর আঁচড়ের দাগ রয়েছে মানুষের মৃতদেহে।
আফানা বলছেন, ‘পথ চলতি কুকুর, যারা খুব ক্ষুধার্ত, তারা রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষের মৃতদেহ খাচ্ছে। ফলে আমাদের পক্ষে মৃতদেহ খুঁজে বের করা ক🐽ঠিন হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সেনা ‘যেখানেই প্রাণের চিহ্ন রয়েছে তা সব ধ্বংস করে দিচ্ছে।’ উত্তর গাজায় জাবালিয়া এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। ইজরায়েলের দাবি, জাবালিয়া এলাকায় হামাসের সদস্যরা ফের গোষ্ঠীবদ্ধ হচ্ছে। গত বছরে ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলার পর ছেকে পাল্টা সংহারে নামে ইজরায়েল। গাজা সেই যুদ্ধের মাঝে পড়ে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এক বছর পার করে মৃতদের সংখ্যা পার করে গিয়েছে ৪২ হাজার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪২,৪০৯ জন। জানা যাচ্ছে, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই নাগরিক। গাজা ভূখণ্ডে ৯৯,১৫৩ জন আ🍒হত হয়েছেন।
বুধবার গাজার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলে ৬৫ জন প্যালেস্তিনীয় মারা গিয়েছেন। আফানা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত ক্ষুধার্ত প্যালেস্তিনীয়রা রাস্তায় খাবারের খোঁজে বের হন, তাঁদের ওপর হামলা করেছে ইজরায়েল। এই প্যালেস্তিনীয়রা একটি রাষ্ট্রসংঘের ওয়ারহাউসে খাবারের খোঁজে যাচ্ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। আফানা বলছেন, ‘পরিস্থিতি খুবই খারাপ হচ্ছে।’ তিনি ဣবলেন,'উত্তর গাজায় যা হচ্ছে, তা গণহত্যা।' রাষ্ট্রসংঘের তরফে গাজায় দꦑুর্ভিক্ষের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ গাজায় ক্রমাগত ইজরায়েল তাদের হামলার জোর বাড়াচ্ছে। ফিলিপ লাজারিনি বলেন,' আজ একটি সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে... যে আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে প্রবেশ করি যেখানে দুর্ভাগ্যবশত আবারও দুর্ভিক্ষ বা তীব্র অপুষ্টির সম্ভাবনা।' লাজারিনি বলেছেন, যে উপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে, গাজায় ক্ষুধার সংকট 'এড়ানো যাবে' যদি কনভয় এবং খাবার প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।