দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে তাঁরই দলের সাংসদ স্বাতꦆী মালিওয়ালের ওপর হামলার ঘটনার এফআইআর ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুলিশকে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন স্বাতীও। এরপরই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে পৌঁছয় ফরেনꦉ্সিক দল ও পুলিশ।
প্রসঙ্গত,কিছুদিন আগেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর স্বাতী মালিওয়ালের হেনস্থা ঘিরে কেজরিওয়ালের বাড়িতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সহায়ক বিভব কুমারের বিরুদ্ধে বড়সড় হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় পুলিশকে স্বাতী অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁরে ঘটনার দিন ৭ থেকে ৮ বার থাপ্পড় মারা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে বিভবের দিকে। এছাড়াও বিভবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্বাতীর বুকে, পেটে লাথি মারেন। স্বাতী বলেন, তিনি চিৎকার করতে থাকেন, তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানান, তারপরও চলে মারধর। স্বাতী তাঁর বয়ানে বলেছেন,' আমি চিৎকার করি, আওয়াজ করতে থাকি, আমি বলি আমাকে ছেড়ে দাও, কিন্তু উনি মারতে থাকেন ক্রমাগত, আমাকে হিন্দিতে গালিগালাজ করেন, আমাকে হুমকি দেন যে, আমরা দেখে নেব আমরা বুঝে নেব।' এখানেই শেষ নয়। স্বাতী তাঁর বয়ানে বলেছেন,' ‘আমি বলতে থাকি, যে, আমি ঋতুমতী অবস্থায় রয়েছি, আর যথেষ্ট ব্যথা হচ্ছে। আমি তাঁর কাছে প্রার্থনা করি আমায় ছেড়ে দিতে।’ স্বাতী বলেন, 'বিভাব কুমার এরপরও ছাড়েননি এবং𝓡 তাঁর পা দিয়ে আমার বুকে, পেটে এবং নিতম্বে লাথি মেরে আমাকে আক্রমণ করেন।'
এদিকে, ফরেন্সিক দল ও পুলিশ শুক্রবার কেজরিওয়ালের বাড়ি যেতেই সেখানে লিভিং রুমের সিসিটিভির দিকে ফোকাস ছিল পুলিশের। উল্লেখ্য, অভিযোগ, কেজরিওয়ালের বাসভবনের ওই লিভিং রুমেই ঘটনাটি ঘটে যায়। এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও নিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। স্বাতীর অভিযোগ ছিল, মারধরের পর তিনি আহত হতেই কেজরিওয়ালের বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্টাফদের ডাকেন। তবে অভিযোগ, তাঁরাও বিভব কুমারের পক্ষেই ছিলেন। বিভব কুমারের ব🧸িরুদ্ধে হামলা এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, স্বাতীর এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতে অস্বস্তিতে পডღ়েছে আম আদমি পার্টি।