যুদ্ধের কালো মেঘ ছেয়েছে ইউক্রেনের আকাশে। এই আবহে এবারে ইউক্রেনে বসাবসরত ভারতীয়দের দেশ ছাড়তে বলল দিল্লি। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির অনিশ্চয়তায় ভরা। এই আবহে ইউক্রেনে ভারতীয় নাগরিকরা, বিশেষ করে যে পড়ুয়ারা এখানে আছেন, তারা সাময়িকভাবে দেশে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন। ভারতীয় নাগরিকদের ইউক্রেনে প্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকদের ইউক্রেনে তাদের উপস্থিতির অবস্থান সম্পর্কে দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। দূতাবাস যাতে প্রয়োজনে তাদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়, সেই কারণেই এই অনুরোধ করা হচ্ছে।’উল্লেখ্য, এর আগে যুদ্ধের আবহে আমেরিকার নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে প্রায় ১৩০,০০০ সেনা জমায়েত করেছে রাশিয়া। 'বন্ধু' দেশ বেলারুশে ট্যাঙ্ক নিয়ে গিয়েছে মস্কো। পাঠানো হয়েছে দু’টো পারমাণবিক বোমারু বিমান।এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজে। ক্রেমলিনে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক করে এসেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তবুও জটিলতা কাটেনি। রাশিয়ার দাবি, আমেরিকাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ইউক্রেন কোনওদিন ন্যাটোতে যোগ দেবে না। পাশাপাশি পূর্বতন কোনও সোভিয়েট দেশে ন্যাটো তাদের অস্ত্র বা ক্ষেপণাস্ত্র বসাতে পারবে না। এই আবহে মার্কিন গোয়ান্দাদের আশঙ্কা, ২০১৪ সালের ক্রাইমিয়ার মতোই রাশিয়া আবারও হানা চালাতে পারে ইউক্রেনে।