আগামীকাল, রবিবার বসতে চলেছে ২৬ তম ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১০ ডিসেম্বর বিহারꦚের পাটনায় ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের ২৬ তম সভায় তিনি সভাপতিত্ব করবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আজ, শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে। এখানে চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে। তবে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন।
এদিকে এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ এবার প্রথম অমিত শাহ বিহারে আসবেন যখন তাঁদের সরকার এখানে নেই। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এনডিএ ছেড়ে লালু প্রসাদ যাদবের দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিজেপিকে এখান থেকে বিতাড়িত করেছে। তাই এবার মুখোমুখি হতে চলেছেন অমিত শাহ–নীতীশ কুমার। ২০২২ সালে যখন এই বৈঠক কলকাতায় হয়েছিল তখন সেখানে যাননি নীতীশ কুমার। উপ–মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে পাঠিয়েছিলেন। এবার এই বৈঠকে যো♈গ দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বদলে এই বৈঠকে যোগ দেবেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিল বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যগুলিকে নিয়ে গঠিত ৷ বিহার সরকারের সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কাউন্সিল সচিবালয় এই বৈঠকের আয়োজন করছে ৷ ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের ২৬ তম সভায় সদস্য রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা এবং প্রতিটি রাজ্যের দু’জন সিনিয়র মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব, অন্যান্য উচ্চপদস্থ অফিসার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরাও বৈঠকে অংশ নেবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি বিবৃতি🃏 জারি করে এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: অ🌃নুব্রত মণ্ডলের ধাঁচেই ꦐলোকসভা নির্বাচনের প্রচার হবে, বীরভূম জেলা কমিটিতে সিদ্ধান্ত
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীরা এই কাউন্সিলের সদস্য। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রত্যেক বছর কাউন্সিলের বৈঠক হয়। গতবছর নবান্ন সভাঘরে বৈঠকটি হয়েছিল। সভার পর কিছুক্ষণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নের ১৪ তলায় যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গে নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় এই বৈঠকে যাবেন না। এই বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝাঁ বলেন, ‘এবার বিহারকে স্পেশাল স্ট্যাটাস দেওয়ার দাবি তুলব বৈঠকে।’ এবার পাটনার বৈঠকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ থাকবেন। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি পোস্ট এবং ফেন্সিং বসানোর জমি নিয়ে পাটনায় আলোচনা হতে পারে। পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে নদীর জলের বণ্টন নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা হতে পারে পোস্ত চাষের অন💦ুমতি নিয়েও।