অভাবনীয় এক ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্ব অর্জন করল ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স। স্টারশিপ রকেটের এক উড়ন্ত বুস্টারকে 'ক্যাচ' করল লঞ্চপ্যাড। লঞ্চের সময় যেই হাতলে রকেটটাকে ধরে রাখা হয়, সেই হাতলই নীচে নামতে থাকা বুস্টারকে নিখুঁত ভাবে ক্যাচ করে। আর তা দেখে রীতিমতো মুগ্ধ ভারতীয় শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা। মাস্কের সংস্থার কৃতিত্বে অভিভূত হয়ে সেই রকেটের টিকিট কিনতে চাইলেন মহিন্দ্রা। সোশ্যাল মিডিয়ায় আনন্দ মহিন্দ্রা লেখেন, 'এই রবিবার সোফায় বসে বসে এই ঐতিহাসিক দৃশ্য দেখতে পেরে খুবই খুশি আমি। এই পরীক্ষাটি মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এর ফলে মহাকাশ ভ্রমণ গণতান্ত্রিক হতে পারে। ইলন মাস্ককে আমার প্রশ্ন, এই রকেটের টিকিট কোথায় কিনতে পারব আমি?' (আরও পড়ুন: 𝄹নিউইয়র্কগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বিস্ফোরণের হুমকি, মুম্বই-হাওড়া মেলেও বোম🀅াতঙ্ক)
আরও পড়ুন: গৌরী লঙ্কেশ খুনের ২ অভিযুক্তকে ম𝓰ালা পরিয়ে বরণ, ভাইরাল অভ্যর্থনার মুহূর্ত
আরও পড়ুন: মণ্ডপে মারামারি পুলিশের ২ 🍃ভলান্টিয়ারের, ‘বিশেষ ভাষা গোষ্ঠীকে’ দোষ TM𓃲CP নেতার
আরও পড়ুন: রেজিস্ট্রেশন বাতিল ♎ঘিরে বিতর্ক, হাই ꦚকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ধাক্কা খেলেন সন্দীপ ঘোষ
উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও꧂ ক্ষেত্রে লঞ্চপ্যাডেই বুস্টার ধরা হল অক্ষত অবস্থায়। নয়ত সাধারণত এই বুস্টারগুলিকে সমুদ্রে অবতরণ করানো হয়। স্পেস এক্স বিগত ৯ বছর ধরে রকেট লঞ্চের সময় এভাবেই সমুদ্রে বুস্টার অবতরণ করিয়ে এসেছে। পরে তারা সেখান থেকে বুস্টারগুলিকে ফের তুলে নিয়ে আসত। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে টেক্🐈সাসের বোকাচিকা মহাকাশ কেন্দ্র উৎক্ষেপণ করা হয় স্টারশিপ রকেট। সেই রকেটের হেভি বুস্টার যখন মাটিতে ফিরে আসছিল, তখন সেটিকে নিরাপদে এবং সফলভাবে ধরে ফেলে স্পেস এক্স-এর লঞ্চ প্যাড।
আরও পড়ুন: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় খুন নির্যাতিতা! ধৃত কলকাতা পু♑লিশের কর্মী, TMC নেত্෴রী
উৎক্ষেপণ টাওয়ারের রোবোটিক হাতল 'চপস্টিক' যেভাবে বুস্টারটিকে ধরে, সেটা বিশ্বে প্রথমবারের মতো ঘটেছে। উল্লেখ্য, স্টারশিপ রকেট ১০০ টন ওজনের যন্ত্রপাতি বা ১০০ জন নভোশ্চরকে বহন করতে পারে। এই সুপার হেভি বুস্টারে আছে ৩৩টি ইঞ্জিন। গত ১৮ মাসের মধ্যে রবিবার পঞ্চমবারের মতো পরীক্ষামূলক ܫউৎক্ষেপণ করা হয়েছিল স্টারশিপকে। মহাকাশের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে স্টারশিপ রকেটটি বুস্টারের থেকে আলাদা হয়ে যায়। তখন রকেটের সুপার হেভি বুস্টারটি ফিরে আসে স্পেস এক্সের সেই টাওয়ারে। এর আগে এই রকেটের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল গতবছরের এপ্রিল ও নভেম্বরে এবং এবছরের মার্চ ও জুনে। প্রসঙ্গত, অন্য গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের জন্যে এই স্টারশিপ রকেট প্রকল্প চালাচ্ছেন মাস্ক।