এবার বড়সড় বিপাকে মুক💎েশ আম্বানির ভাই অনিল আম্বানি। তহবিলের গতিপথ ঘোরানোর মামলায় এবার অনিল আম্বানিকে ৫ বছরের জন্য সিকিউরিটি মার্কেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া' বা সেবি। অনিল ছাড়াও আরও ২৪ সংস্থাকে ৫ বছরের জন্য এই মার্কেটে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ২৪এর মধ্যে রয়েছেন রিলায়েন্স হোম ফাইনান্সের প্রাক্তন এক্সিকিউটিভরাও। সংস্থার তহবিলের গতিপথ ঘোরানোর কেসে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সেবি।
এখানেই শেষ নয়। তহবিল সংক্রান্ত মামলায় অনিল আম্বানিকে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতেও বলা হয়েছে। তাঁকে সাফ বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার কোনও তালিকাভূক্ত সংস্থায় তিনি ম্যানেজার পদস্থ ব্যক্তিত্ব বা ডিরেক্টর হিসাবেও সিকিউরিটি মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এছাড়াও রিলায়েন্স হোম ফিনান্সকে আগামী ৬ মাসের জন্য সিকিউরিটি মার্কেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ৬ লাখ টাকার জরিমানাও সংস্থার জন্য ধার্য করা হয়েছে। ঘটনার মূল সূত্র ২০২২ সালে। অভিযোগ, সেই সময়, রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স সংস্থার তহবিল থেকে টাকা ঘুরপথে হাতিয়ে নেওয়ার অভি๊যোগ ওঠে অনিল আম্বানির নামে। এরপরই ধীরুভাই আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনিলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পরই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। চূড়ান্ত নির্দেশেও সেবি জানাল সং♛স্থার কোনও পদেই থাকতে পারবেন না মুকেশের ভাই অনিল আম্বানি।
অনিল আম্বানি🧔কে নিয়🐬ে ২২২ পাতার একটি চূড়ান্ত নির্দেশ এদিন ঘোষণা করেছে সেবি। সেবি তার রিপোর্টে জানিয়েছে, RHFL র বেশ কয়েকজন ম্যানেজার পদস্থদের সঙ্গে মিলে একটি জালিয়াতি প্রকল্পের মাধ্যমে অনিল তহবিল স্থানান্তর করছিলেন RHFL র থেকে। রিপোর্টে রয়েছে এমনই অভিযোগ। এক্ষেত্রে ছদ্মবেশ ধারণের প্রসঙ্গ যেমন তুলে ধরেছে সেবি, তেমনই ঋণের প্রসঙ্গও রয়েছে রিপোর্টে। এককালে বিশ্বের তাবড় ধনী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় থাকা অনিল আম্বানি বর্তমানে কার্যত দেউলিয়া হতে বসেছেন বলে খবর।
রিপোর্ট বলছে, RHFL-এর বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স, এই ধরনের ঋণদানের প্রথা বন্ধ করার জন্💦য দৃঢ় নির্দেশ জারি করে এবং নিয়মিত কর্পোরেট ঋণ পর্যালোচনা করে, কিন্তু কোম্পানির ব্যবস্থাপনা এই আদেশগুলি উপেক্ষা করে যায়। এটি সংস্থা পরিচালনার একটি উল্লেখযোগ্য ব্যর্থতার উদাহরণকে তুলে ধরে, যা অনিল আম্বানির প্রভাবে কিছু কিছু পদস্থ ম্যানেজার স্থানীয় ব্যক্তিদের দ্বারা চালিত হয়েছে, বলে সেবির রিপোর্ট দাবি করেছে। এই জালিয়াতির মামলায় অনিল আম্বানির বিরুদ্ধ💖ে সম্পূর্ণটা আয়োজন করার অভিযোগ রয়েছে সেবির রিপোর্টে। অনিল আম্বানির জরিমানা ছাড়াও, রিলায়েন্স হোম ফিনান্সের প্রাক্তন কর্মী অমিত বাপনার বিরুদ্ধে ২৭ কোটির জরিমানা, রবীন্দ্র সুধাকরের বিরুদ্ধে ২৬ কোটির জরিমানা ও পিঙ্কেশ শাহের বিরুদ্ধে ২১ কোটির জরিমানা ধার্য করেছে সেবি।