গরু পাচার মামলায় আপাতত ইডির হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লিতে চলছে বীরভূমের এই বাহুবলী নেতার জেরা। গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। এই আবহে এবার ইডির তরফে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হল। জানা গিয়েছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রতর কালো টাকা ঢালা হয়েছিল আইপিএলেও। মণীশ কোঠারির 'পরামর্শেই' নাকি এই কাজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ও বুধবার একটানা জেরা করা হয়েছে অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে মণীশকে। সেই জেরাতেই জানা গিয়েছে, আইপিএলে বিনিয়োগ করা হয়েছিল গরু পাচারের টাকা। (আরও পড়ুন: 'OPS-এর বিরুদ্ধে নই', বললেন ফড়ণবীস, তাহলে কি পুরনো প💛েনশন নিয়ে নীতি বদল বিজেপি🐼র?)
ইডি দাবি করেছে, গরু পাচারের কয়েকশ কোটি টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে অনুব্রতকে অনেক ধরনেকর পরামর্শ দিয়ে থাকতেন মণীশ। বাজার দরের থেকে বেশি দামে সম্পত্তি বা জিনিসপত্র কেনার 'পরামর্শও' নাকি অনুব্রতকে দিয়েছিলেন মণীশ। এই আবহে তৃণমূল নেতার হিসাবরক্ষক তাঁকে বুঝিয়েছিলেন, আইপিএলে কালো টাকা ঢাললে, তা ধরা𒅌 সহজ হবে না। যে টুর্নামেন্টে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়, সেখানে কয়েকশো কোটির বিনিয়োগের ওপর কারও নজর থাকবে না বলেই এই পথ অবলম্বন করতে অনুব্রতকে বলেছিলেন মণীশ। এই আবহে এই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি।
আরও পড়ুন: বর্ধিত পেনশনꦓ, ডিএ-র দাবিতে প♓থে অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীরা
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পর মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এরপর গতকালই গরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ৬ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ইডির দাবি, ভুয়ো কোম্পানি খুলে কালো টাকা সাদা করেছেন মণীশ। জিজ্ঞা🦹সাবাদের সময় মণীশ কোঠারি একাধিক তথ্য গোপন করেছেন বলেও দাবি করে ইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলেও দাবি করে। একথা জানিয়ে মণীশকে ৭ দিনের জন্য হেফাজতে চায় ইডি। পালটা জামিনের আবেদন করে মণীশ কোঠারির আইনজীবী বলেন, মণীশ কোঠারি অসুস্থ। দুপক্ষের সওয়াল শুনে মণীশ কোঠারিকে ৬ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিশেষ আদালতের বিচারক।