রাহুল সিং
লাদাখ সীমান্তে সংঘাত মেটাতে চিনের কতটা ইচ্ছা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বয়ং দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানান, ভারত চাইছে সীমান্তে ফের ফিরে আসুক শান্তি ও স্বস্তি। তিনি বলেন, ' তবে এটা কোনও মতেই এক তরফা হতে পারেনা।' এই বিষয়ে তিনি কার্য𝔉ত বেজিংয়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
মনোজ পাণ্ডে চিন ইস্যুতে বলেন,' মূল সমস্যা হচ্ছে সীমান্ত ইস্যুর সমাধান। যা দেখা যাচ্ছে, তা হল, চিনের উদ্দেশ্য হল সীমানা ইস্যুকে বাঁচিয়ে রাখা।' এরসঙ্গেই তিনি বলেন,দেশকে রক্ষা ও দেশের সেনার সীমানাকে নিরাপত্তা দেওয়াই ভারতের লক্ষ্য। যাতে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় থাকে। উল্লেখ্য, সদ্য ৩০ এপ্রিল নয়া সেনা প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মনোজ পাণ্ডে। উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের মে মাস থেকে লাদাখের পূর্ব প্রান্তে চিনের আগ্রাসন ভারতের মাথা ব্যথার মূল কারণ। সেই সময় ভারত যে তিনকে যোগ্য জবাবই দিয়েছে শুধু, তা নয়। তার সঙ্গে ব্যবসায়িক দিক থেকেও চিনকে মোক্ষম জবাব দেয় কেন্দ্র। এদিকে, এই ঘচনার তিন বছর কেটেছে। তারপরও লাদাখে সীমান্ত রেখা নিয়ে বিবাদের সমাধান সূত্র এখনও মেলেনি। সেই ইস্যুতেই এদিন ভারতের সেনাপ্রধান মুখ খোলেন। শ্রীলঙ্কা: হিংসার আগুনে নতুন করে ব💦িপর্যসဣ্ত দ্বীপরাষ্ট্র, মৃত বেড়ে ৫
এদিকে, এই বিষয়ের সমাধানসূত্র নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা কতদূর এগোলো তা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন সেনা প্রধান। তিনি বলেন, 'কয়েকটি এলাকা নিয়ে মত পার্থক্য এখনও রয়ে গিয়েছে। তবে সেই জায়গার সমাধান সূত্র বের করতে আমরা চিনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাব। ভাল দিক হল, আমাদের আলোচনা চলছে। আর কথার মাধ্যমেই সমাধান হয় সমস্যার।' উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাস থেকে লাদাখ ইস্যুতে সংঘাত চলেছে। গোগরা, ডেপসাং, ডেমচকে সংঘাতের রেশ দেখা গিয়েছিল। এদিকে, ভারতের সেনাকে থিয়েটার ভিত্তিতে ভাগ করার বিষয়টি নিয়ে সেনা প্রধান বলেন,'ল্যান্ড থিয়েটার কমান্ডের উপর সেনাবাহিনীর পর্যালোচনার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং যথাসময়ে জমা দেওয়া হবে। সেনাবাহ๊িনী থিয়েটা🍒রাইজেশন এবং এর সাফল্যের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' এই বিষয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রসঙ্গ নিয়ে সেনা প্রধান বলেন,' আমরা কিছু বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র, আর্টিলারি সিস্টেম এবং ট্যাঙ্কের জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেনের উপর নির্ভরশীল। ফলে (এই পরিস্থিতিতে) বাইরের উৎসের ওপর নির্ভরতা কমানো একটি বড় শিক্ষা।' তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব ভারতের কিছু সিস্টেম, অস্ত্রসস্ত্রের সরবরাহের ক্ষেত্রে পড়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাশিয়ার মতো দেশের ওপর বিভিন্ন দেশের বহু বিধি আরোপিত হয়েছে যুদ্ধের কারণে।