সশস্ত্র বাহিনীতে যাতে লিঙ্গ বৈষম্য না থাকে সেটা দেখা হয়। এবার সেই নিরিখে মঙ্গলবার🥂 দিল্লি হাইকোর্টের পর্যꦗবেক্ষণ, যদি সিয়াচেনে কোনও মহিলা আধিকারিককে পোস্টিং দেওয়া যেতে পারে তবে আর্মিতে নার্স হিসাবে কোনও পুরুষকেও নিয়োগ করা যেতে পারে।
বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা, বিচারপতি সঞ্জীব নারুলা সেনাবাহিনীত🐷ে কেবলমাত্র মহিলা নার্স রাখা নিয়ে ‘অসাংবিধানিক একটি বিষয়কে’ ঘিরে মামলা শুনছিলেন।
অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি কেন্দ্রের পক্ষে ছিলেন। তাঁর মতে, এটা দীর্ঘদিনের একটি রীতি চলে আসছে। সরকার সবে লোকসভা ও ꦜরাজ্য় বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের প🐈ক্ষে বিল আনল।
এরপরই এই যে নারী পুরুষের সমান অধিকার তা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, হ্য়াঁ পার্লামেন্টে একদিকে বলবেন নারীদের ক্ষমতায়♓নের কথা, আর অন্যদিকে আপনারা বলবেন পুরুষরা নার্স হিসাবে যোগ দিতে পারবেন না। কিন্তু একজন নারী অফিসারকে যদি সিয়াচেনে পোস্টিং করা যেতে পারে তবে একজন পুরুষকেও হাসপাতালে কাজ করতে পাঠানো যা𓂃য়।
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য। সেনা বাহিনীতে লিঙ্গ বৈষম্য যাতে না থাকে তার জন্য় সুপ্রিম কোর্টও বার বার জানিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এই💫 বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সেই সঙ্গেই বিচারপতিরা জানিয়েছেন, সুপ্☂রিম কোর্ট নারীদের ন্যাশানাল ডিফেন্স আকাদেমিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে অনুমোদন করেছে। যাতে কোথাও কোনও লিঙ্গ বৈষম্য না থাকে সেব্যাপারে বার বার বলা হয়েছে। খবর নিউজ ১৮ সূত্রে।
আবেদনকারী ইন্ডিয়ান প্রফেশনাল নার্সেস অ্য়াসোসিয়♌েশনের তরফে ছিলেন অ্যাডভোকেট অমিত জর্জ। তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত হাসপাতালে এখন পুরুষ নার্স রয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্টও বলছে মিলিটারিতেও একটি বিশেষ লিঙ্গকে কোনও কাজ থেকে বিরত রাখা যাಞবে না।
তবে এর আগেই হাই কোর্ট জানিয়েছিল মিলিটারি নার্স হিসা🐈বে কেবলমাত্র মহিলাদের রাখা নিয়েไ যে ‘বেআইনি রীতি’ গড়ে উঠেছে তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে ব্যাখা চেয়েছিল হাইকোর্ট।
আবেদনকারী ইন্ডিয়ান প্রফেশনাল🦩 নার্সেস অ্য়াসোসিয়েশন জানিয়েছে, বর্তমানে হাজার হাজার প্রশিক্ষিত পুরুষ নার্স রয়েছেন। কিন্তু মিলিটারি থেকে তাঁদের দূরে রাখাটা অযৌক্তিক।