রাজনৈতিক কারণেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে আপ নেতার জামিনের আবেদনের পক্ষে এই যুক্তিই দিলেন প্রবীণ আনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। আজ সকালে দিল্লি হাইকোর্টে শুরু হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মামলার শুনানি। মামলার শুনানির শুরুতেই ইডি এই আবেদনের বিরোধিতা করে। এরপর কেজরিওয়ালের আবেদনের বিস্তারিত জবাব দাখিলের জন্য সময় চান ইডির হয়ে আদালতে সওয়াল করা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তিনি আদালতকে বলেন, গতকালই তাঁরা আবেদনের কপিটি হাতে পেয়েছেন। তবে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের বিরুদ্ধে আদালত কক্ষে সরব হন কেজরিওয়ালের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। আদালতকে নিজের যুক্তির সপক্ষে সিংভি বলেন, 'এটা ইচ্ছে করে শুনানিতে দেরি করানোর কৌশল। আমি আজই এই বিষয়টির ওপরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব। গ্রেফতারির ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে রয়েছে। এই আবহে গ্রেফতারির ভিত্তির ৭ থেকে ৮টি পয়েন্ট তৈরি করতে কয়েক মিনিট সময় দেওয়া হোক। আমি এখানে গ্রেফতারি ও রিমান্ডের মৌলিক ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করছি।' (আরও পড়ুন: দিল্লি আবগারি দুর্নীতির টাকার হদিস দেবেন কেজরিওয়♈াল, বিস𝔉্ফোরক দাবি স্ত্রী সুনীতার)
আরও পড়ুন: ইডির হা🤪ত থেকে 'ছুটি' পেতে না পেতেই সিবিআই-এর হাতে গিয়ে পড🌳়বেন কেজরিওয়াল: রিপোর্ট
এদিকে শুনানির শুরুতেই আম আদমি পার্টি 'ধমক' খায় হাইকোর্টের। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিরোধিতায় আজ আদালত প্রাঙ্গ🍷নে আপ-এর বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং ধরনার কর্মসূচি ছিল। তবে সেই বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বলে, 'আদালতে আসার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। তা থেকে কাউকে আটকানো যাবে না। কেউ যদি সাধারণ মানুষকে আদালতে আসতে বাধা দেয় তাহলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে।'
আরও পড়ুন: শুরু হল রোজ ভ্যালির টাকা ফের🌞তের প্রক্রিয়া, কোথায়-কীভাবে আবেদন করবেন?
এদিকে ফের একবার শুনানি শুরু হয় কেজরিওয়ালের জামিন মামলার। সেই সময় অভিষেক সিংভি এই গ্রেফতারির সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এই গ্রেফতারির ভিত্তিটাই বাজে। তাঁর কথায়, 'নির্বাচনে মুখে যখন আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটা স্পষ্ট যে এখানে দুই পক্ষের জন্যে সমান প্লেয়িং ফিল্ড নেই।' এরপর ইডির জবাব দেওয়ার জন্য সময় চাওয়ার বিরোধিতায় সিংভি বলেন, 'এখানে তো গ্রেফতারির ভিত্তি এবং রিমান্ড অর্ডারের বাইরে ♐গিয়ে কোনও জবাব দেওয়ার কিছু নেই। গোটা বিষয়টাই এখানে সবার চোখের সামনে রয়েছে। এই আবহে দেরি করার কৌশল হিসেবে জবাব দেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: এই রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়ে বড় নির্দেশিকা জারি স্কুল শিক্ষা দফতর💮ের!
এরপর কেজরির আইনজীবী দাবি করেন, পিএমএল আইনের ৫০ নং ধারা অনুসারে তাঁর মক্কেলের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি। এরপর ইডির গ্রেফতারি নিয়ে সিংভি বলেন, 'গ্রেফতারের ক্ষমতা এবং গ্রেফতারের প্রয়োজনীয়তা বা গ্রেফতারির বাধ্যবাধকতার এক জিনিস নয়। এই গ্রেফতারির মাধ্যমে গণতন্ত্রের হৃদয়ে আঘাত হানা হয়েছে। এই গ্রেফাতিরর সময় ঠিক নয়। তাই অন্তর্൩বর্তীকালীন ভাবে কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়ার আর্জি জানাচ্𒊎ছি।'