জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষা শেষ। তবে শেষ দিনেই চরম বিতর্ক তৈরি হল কাশী ধামের এই মসজিদ ঘিরে। সমীক্ষার পরই বারাণসী আদালতে একটি আবেদন জমা পড়ে যে মসজিদে একটি শিবলিঙ্গ আছে। সেই আবেদন জমা পড়তেই মসজিদের ওজুখানা সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এই আবহে এবার আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিলেন হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। পেশায় আইনজীবী ওয়াইসির সাফ কথা, মসজিদের জায়গা সিল করার এই নির্দেশ ১৯৯১ সালের ‘প্লেস অফ ওয়ারশিপ’ আইনের পরিপন্থী। (আরও পড়ুন: নদীর তীরে ত🦄াজমহলের ভূগর্ভস্থ কক্ষগুলিতে ল🧔ুকিয়ে কোন রহস্য? প্রকাশ্যে ছবি)
আসাদউদ্দিন ওয়াইসির প্রশ্ন, যে কোর্ট কমিশনারকে আদালত নিযুক্ত করেছিল, সেই কমিশনার শিবলিঙ্গের দাবি নিয়ে আদালতে গেলেন না কেন? ওয়াইসির দাবি, ওজুখানায় মেলা সেই পাথর আদলে ফোয়ারা এবং স😼েটি শিবলিঙ্গ নয়। তিনি বলেন, প্রতিটি মসজিদেই এরম ফোয়ারা থাকে ওজুখানায়। এই আবহে কমিশনার রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগেই আবেদনকারীর দাবি ভিত্তিতে কীভাবে মসজিদ সিল করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। বাꦅবরি মামলায় ১৯৯১ সালের ‘প্লেস অফ ওয়ারশিপ’ আইনের উল্লেখ করে ওয়াইসি দাবি করেন, আদাল এভাবে মসজিদের ওজুখানা সিল করার নির্দেশ দিতে পারে না।
হায়দরাবাদের সাংসদ বলেন, ‘আপনি যদি বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ৮৩ নং অনুচ্ছেদটি পড়েন, তবে আপনি দেখতে পাবেন যে এটি বলেছিল ১৯৯১ সালের (প্লেস অফ ওয়ারশিপ) আইনটি মৌলিক কাঠামোর একটি অংশ… নিম্ন আদা🐬লত কীভাবে সংসদের উদ্দেশ্যে এবং সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে যেতে পারে?’ ওয়াইসি আরও বলেন, ‘সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা কমিশনার যখন রিপোর্ট জমা দেননি... এবং মুসলমানদের রক্ষা করার মতো কেউ ছ🍸িল না, তখন আদালত কীভাবে আদেশ দিতে পারে যে একটি 'শিবলিঙ্গ' পাওয়া গিয়েছে? এটি ১৯৯১ সালের আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা মসজিদের প্রকৃতি ও চরিত্র পরিবর্তন করছে। জ্ঞানবাপী মসজিদে ওজুখানায় শুধু একটি ফোয়ারা আছে। যে কাঠামোটিকে আবেদনকারীরা শিবলিঙ্গ বলে দাবি করছেন, সেটি একটি ফোয়ারা। আবেদনকারীর দাবি বিভ্রান্তিকর।’