𓆏তাঁর অনুগত বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল কংগ্রেস। এই আবহে শেষ পর্যন্ত সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে আজ এই বিদ্রোহ𝓰ের জন্য ক্ষমা চাইলেন অশোক গেহলট। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। রাজস্থানে কংগ্রেসের ‘গৃহযুদ্ধে’র নেপথ্যে ছিলেন গেহলট অনুগত ৮২ বিধায়ক। সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে একযোগে সবাই মিলে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই আবহে সরকার পড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল রাজ্যে। এদিকে গেহলট দাবি করে এসেছেন যে এই বিদ্রোহে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। তাও কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধী অসন্তুষ্ট ছিলেন গেহলটের প্রতি।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেও রাজস্থানের রাশ নিজের হাত থেকে ছাড়তে চাইছিলেন না অশোক গেহলট। এই আবহে তৈরি হয় জটিল এক পরিস্থিতি। উল্লেখ্য, এই বিদ্রোহের আগে পর্যন্ত পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে আগে ছিলেন অশোক গেহলটই। তবে এখন তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করবেন না। রাজস্থানে ক্ষমতার রাশ নিজের হাতে রাখতেই গেহলটের এহেন সিদ্ধাꦿন্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিলেন সনিয়া।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে গেহলট অনুগত ৮২ জন বিধায়ক নিজেদের পদত্যাগপত্র দেন। তবে তা গ্রহণ করা হয়নি। এরই মাঝে নিজেদের হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেহলট শিবির একটি ‘শর্ত’ আরোপ করে। তাঁরা দাবি জানায়, ১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণার পরই যেন অশোক গেহলটের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হয়। তবে দিল্লিতে দলের হাইকমান্ড এই শর্ত মানতে নারাজ ছিল। বিধায়কদের দাবি, অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা উচিত। তবে এই ‘শর্তে’ স্বার্থের সংঘাত দেখতে পান🐎 দলীয় পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন। মাকেন বনাম গেহলট অনুগতদের বচসা প্রকাশ্যে চলে আসে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধায়কদের শান্ত থাকতে বলেন অশোক গেহলট। নিজে চলে আসেন দিল্লি। দেখা করেন সনিয়ার সঙ্গে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুর্সি টিকিটে রাখাই তাঁর মূল লক্ষ্য।