বারাণসীর জ্ঞানবাপী মামলায় শুক্রবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। এদিন বারাণসী জেলা আদালতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু, সমীক্ষার ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছ♊ে এএসআই। এদিন বারাণসীর আদালতে সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানির কথা ছিল। তবে শেষমেষ শুনানি হল না। বিশেষ কারণে পিছিয়ে গেল শুনানি। আগামীকাল ফের সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে ASI সমীক্ষায় 'সুপ্রিম' সায়, নির্দেশে কী কী বলা হ🌊য়েছে?
এর আগে গত ২ নভেম্বর এএসআইকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল আদালত। তবে এএসআইয়ের বক্তব্য, তারা এখনও প্রযুক্তিগত রিপোর্ট হাতে পায়নি। সেই কারণে আদালতে তারা রিপোর্ট জমা দিতে পারবে না। তারজন্য আরও ১৫ দিন সময় প্রয়োজন।♒ কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী অমিত শ্রীবাস্তব বলেছেন, বারাণসীর জেলা আদালত সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য শুক্রবার ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। কিন্তু, সমীক্ষায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন এখনও আসেনি। তাই এএসআই শুক্রবার জেলা আদালতের বিচারক এ কে বিশ্বেশেরের কাছে আরও ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে এএসআইকে ৬ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও পরে ৩ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সময় আদালত এএসআইকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়ে বলেছিল সময়সীমা এর বেশি আর বাড়ানো হবে না।
অন্যদিকে, আ📖জ শুক্রবার শুনানির কথা থাকলেও এক আইনজীবীর মৃত্যুর কারণে এদিন আদালতের সমস্ত বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকে। উল্লেখ্য, গ🎃ত শনিবার সমীক্ষার প্রমাণ হিসাবে পাওয়া ২৫০ টি সামগ্রী আদালতের নির্দেশে এডিএমের তত্ত্বাবধানে কোষাগারে জমা রেখেছিল এএসআই। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, এএসআইকে সমীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে জ্ঞানবাপী মসজিদটি মন্দির ভেঙে তার উপর তৈরি করা হয়েছে কিনা। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করেছে ৪০ জনের একটি দল। তাতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। সমীক্ষায় থ্রিডি ফটোগ্রাফি ও স্ক্যানিংয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল ম্যাপিংও করা হয়েছে।