বারাণসীর জ্ঞানবাপী মামলায় বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা রিপোর্টꦺ জমা দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আরও ৩ সপ্তাহ সময় চেয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)। এভাবে বারবার সময় চাওয়াই এএসআইয়ের উপর বিরক্ত বারাণসী জেলা আদালত। তাই কী কারণে তারা সময় চায়ছে? তার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেছে আদালত। বুধবার স্বল্প সময় থাকার কারণে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানির জন্য মুলতুবি রাখে আদালত। এদিন বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করার জন্য এএসআইকে আদালত আরও ৩ সপ্তাহ সময় দেবে কি না সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে ཧঢুকতে পারবেন না মুসলিমরা? মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রায়দান পিছিয়ে গেল
এই নিয়ে ৬ বার রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় চাইল এএসআই। এর আগে আদালত ইতিমধ্যে এএসআইয়ের ৫টি আবেদন মঞ্জুর করেছে। প্রথমে ৫ অগস্ট, এরপর ৮ সেপ্টেম্বর, ৫ অক্টোবর, ২ নভেম্বর এবং ১৭ নভেম্বরে অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল এএসআই। তবে এভাবে বার বার সময় চাওয়ায় আপত্তি জানান মসজিদ পরিচালন কমিটির আইনজীবী মহম্মদ ইখলাক। এরপরে অতিরিক্ত সময় চাওয়ার জন্য এএসআইকে কারণ ব্যাখ্যা করতে বলে আদালত। বুধবার জেলা বꦿিচারক অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশা মামলার নির্দেশ মুলতুবি রাখেন। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে নির্দেশ দেওয়ায় কথা। যদিও রিপোর্ট পেশ করতে সময় চাওয়ার কারণ হিসেবে প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা কথায় তুলে ধরেন সরকারি আইনজীবী অমিত শ্রীবাস্তব।
এএসআইয়ের বক্তব্য, তারা এখনও প্রযুক্তিগত রিপোর্ট হাতে পায়নি। সেই কারণে আদালতে তারা রিপোর্ট জমা দিতে পারছে না। উল্লেখ্য, এর আগে এএসআইকে ৬ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও পরে ৩ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সময় আদালত এএসআইকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়ে বলেছিল সময়সীমা এর বেশি আর বাড়ানো হবে না। প্রসঙ্গত🤪, সপ্তাহখানেক আগেই সমীক্ষার প্রমাণ হিসাবে পাওয়া ২৫০ টি সাম𝕴গ্রী আদালতের নির্দেশে এডিএমের তত্ত্বাবধানে কোষাগারে জমা রেখেছিল এএসআই। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, এএসআইকে সমীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে জ্ঞানবাপী মসজিদটি মন্দির ভেঙে তার উপর তৈরি করা হয়েছে কিনা। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করেছে ৪০ জনের একটি দল। তাতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। সমীক্ষায় থ্রিডি ফটোগ্রাফি ও স্ক্যানিংয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল ম্যাপিংও করা হয়েছে।