সমাধি দেওয়ার ঠিক আগে জেগে উঠল ‘মৃত’ শিশু। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সত্যিই সে প্রাণ হারাল। অসমের চা বাগানের ঘটনায় গ্রেফতার এক কম্পাউন্ডার।ডিব্রুগড় জেলার লাহোওয়ালে মুটুক চা বাগানে এক বছরের কমবয়েসি একটি শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে সংজ্ঞা হারালে তাকে বাড়ির লোকজন ওই চা বাগানের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কম্পাউন্ডার গৌতম মিত্র শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর শিশুটিকে কবর দিতে গোরস্থানে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে তার শরীরের প্রাণের স্পন্দন দেখা দেয়। এর পর তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শিশুটি মারা যায়। সোমবার ঘটনার জেরে চা বাগানের হাসপাতালের কম্পাউন্ডার গৌতম মিত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, হাসপাতালে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা না করলে চিকিৎসার জন্য তাকে বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতেন বাবা-মা। কিন্তু মৃত ঘোষণা করার ফলে অযথা অনেক সময় নষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত শিশুটির মৃত্যু হয়। সলাহোওয়াল থানার ওসি হৃষিকেশ হাজারিকা বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না বলে শিশুটিকে দেখার ভার বর্তেছিল কম্পাউন্ডারের উপরে। কিন্তু এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার পরে শিশুটি নড়চড় শুরু করলে বোঝা যায় সে জীবিত। তাকে অসম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়ে যায় এবং সেখানে পৌঁছলে তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।’লাহোওয়ালের এই ঘটনায় স্থানীয় চা বাগান শ্রমিক মহল্লায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।