বিরাট স্বস্তি! ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষের 'লক' করে রাখা 'বায়োমেট্রিক' খুলে দিয়েছে 'ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া' (ইউআইডিএআই) কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ওই সহনাগরিকেরা শীঘ্রই তাঁদের বহু প্রতিক্ষিত 'আধার' পরিচ🐓য়পত্র হাতে ꦕপেয়ে যাবেন। এঁরা সকলেই অসমের বাসিন্দা।
সরকারি সূত্রের দাবি, ২০১৯ সালে অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) তৈরির সময়েই ঘটে যায় বিপত্তি। 'ভুলবশত' ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষের আধার কার্ড 'লক' করে দেওয়া হয়। পাꦏঁচবছর পর অবশেষে সেই ভু🍬ল শুধরে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এর ফলে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরই তিনসুকিয়ার অন্তত ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার মানুষ তাঁদের আধার পরিচয়পত্র পেয়ে যাবেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'এখনও পর্যন্ত ৫ লꦏক্ষ আধার কার্ড🐻ের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।'
বুধবার রাজ্যবাসীকে এই সুখবর দিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন করে আধার কার্ড বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ২৩ সেপ্ট♕েম্বর। ওই দিনই তিনসুকিয়ার 💧১২-১৩ হাজার মানুষ তাঁদের আধার কার্ড পাবেন।
এই প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেন হিমন্ত। তিনি লিখেছেন, 'অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী তৈরির প্রক্রিয়া চলাকালীন যে আধার কার্ডগুলি লক করা হয়ে🥂ছি🤡ল, সেই ৯.৩৫ লক্ষ আধার কার্ড খুলে দিচ্ছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া' (ইউআইডিএআই) কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ আধার কার্ড ছাড়ার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।'
কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্🃏রী 𝄹অমিত শাহের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন হিমন্ত।
আমজনতা যাতে এই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে পারে, তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ইউআইডিএআই-এর ওয়েবসাইটে গিয়েই তারা এফওকিউ চেক করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট আধার কার্ড👍ের প্রাপক কবে তা হাতে পাবেন, বা সেটি কী অবস্থায় রয়েছে, অর্থাৎ ওই আধার নম্বরের স্টেটাস এখানে দেখতে পাওয়া যাবে।
আবেদনকারীরা চাইলে এই বিষয়ে ইমেল মারফতও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এর জন্য তাঁদের helpdesk.rogh[email protected] অ্যাড🔜্রেসে ইমেল করতে✤ হবে। অথবা তাঁরা 0361-2221819 - এই নম্বরে সরাসরি কল করেও নিজেদের প্রশ্নের জবাব পেতে পারেন।
এর আগে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করಞেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই আধার কার্ড ইস্যু করার জন্য ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এনআরসি-তে নাম নথিভুক্ত করার সঙ্গে আধার নথিভুক্তিকরণের কোনও সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৯ ♒সালের ফেব্রুয়ারি থেকে অগস্ট মাসের মধ্য়ে অসমের মোট ৯,৩৫,৬৮২ জন বাসিন্দা তাঁদের আধার কার্ড পাওয়ার জন্য বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত তথ্যাবলী জমা করেছিলেন।
স🍨েই সময় অসমে নাগরিক পঞ্জী তৈরিরও কাজ চলছিল। যে শিবিরগুলিতে এই কাজ চলছিল, সেখানেই আধার সংক্রান্ত তথ্য জমা করেন বাসিন্দারা। কিন্তু, তারপরই ভুলবশত ত𝓰াঁদের আধার 'লক' হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন হিমন্ত।
এর ফলে ভুক্তভোগীদের যে অ🍒নেক সমস্যা ভোগ 𝔉করতে হয়েছে, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।